ব্ল্যাকহোল সৃষ্টি প্রথম দেখলেন গবেষকরা
নয়া দিগন্ত অনলাইনmiscellaneous
মহাকাশে মাঝারি মাপের একটি ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণবিবর তৈরির সাক্ষী থাকলেন বিজ্ঞানীরা। মহাকর্ষীয় তরঙ্গ পর্যবেক্ষণ করে এই প্রথম এমন মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হল মানুষ। বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা মিলে এই গবেষণায় অংশগ্রহণ করেন। তাতেই মিলেছে সাফল্য।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২টি ব্ল্যাকহোল এর বিলয় বা একত্রে মিলে যাবার ফলে নতুন যে ব্ল্যাক হোল তৈরি হয়েছে তার ভর সূর্যের ভরের ১৪২ গুণ বেশি। গত বছর ২১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম মহাকর্ষজ তরঙ্গ ধরা পড়ে বিশেষ টেলিস্কোপে। তারপর একই রকম তরঙ্গ ধরা পড়ে ইতালিতে।
গবেষক ক্রিস্টফার ব্যারি জানিয়েছেন, ‘সূর্যের থেকে লক্ষ লক্ষ গুণ ভারি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল কীভাবে তৈরি হয় তা আমাদের জানা নেই। কোনো তারা ধ্বংস হয়ে তা তৈরি হয়, নাকি তৈরি হওয়ার অন্য পদ্ধতি রয়েছে, সবই অজানা।’
তিনি বলেন, ‘ছোট ছোট ব্ল্যাকহোল থেকে কী করে প্রকাণ্ড ব্ল্যাকহোলগুলি তৈরি হয় তা জানতে আমাদের মাঝারি মাপের একটি ব্ল্যাকহোল সৃষ্টি প্রত্যক্ষ করার অপেক্ষ করছিলাম। সেই অপেক্ষা শেষ হয়েছে।’
পৃথিবী থেকে অন্তত ১৬ হাজার ৫০০ কোটি কিলোমিটার দূরে অন্তত ৭০০ কোটি বছর আগে ঘটেছে এই ঘটনা। দীর্ঘ দূরত্ব পার করে পৃথিবী পর্যন্ত আসতে এই সময় লেগেছে মহাকর্ষ তরঙ্গের।
from The Daily Nayadiganta http://www.dailynayadiganta.com/miscellaneous/526018/ব্ল্যাকহোল-সৃষ্টি-প্রথম-দেখলেন-গবেষকরা
via IFTTT