জ্ঞানী ব্যাক্তির কিছু বৈশিষ্ট্য।

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও মহান রব্বুল আলামীন এর রহমতে ভালো আছি। আজ একটা নতুন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। টকইটেল দেখেতো বুজেই গেছেন যে আজকে আমি আপনাদের সাথে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো? হ্যা বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে জ্ঞানী মানুষের কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করবো। তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক। এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লাগে তবে একটা লাইক এবং একটা সুন্দর কমেন্ট করে আমাকে এরকম আরো আর্টিকেল বানাতে উৎসাহিত করবেন, ইনশাআল্লাহ। আরেকটা কথা যদি এই আর্টিকেলটিতে কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর আমাকে কমেন্টে জানিয়ে দিবেন আমি এটা ঠিক করে নিব। তো আর বেশি কথা বলবো না। চলুন মূল বিষয়ে ফিরে যায়।
জ্ঞান যখন বৃদ্ধি পাই তখন মানুষের অহংকার কমে যায়। জ্ঞান যখন বৃদ্ধি পাই তখন মানুষের বাজে কথা অর্থাৎ ফাও কাথার দিকে খেয়াল কমে যায়। এর কারণ জ্ঞান আপনাকে অনুভব করায় আমরা এ পৃথিবীকে যতটুকু মনে করি এটা আসলে তার থেকে গুন বড়। এই পৃথিবী তার ভেতরে অনেক কিছু লুকিয়ে রেখেছে যা আমরা এখনও জানি না। আপনি চিন্তা করতে পারেন কতটুকু? আপনি চিন্তা করতে পারেন ঠিক ততটুকু যতটুকু আপনার মন চিন্তা করতে পারে। এর বাইরে আপনি আর চিন্তা করতে পারবেন না। কিন্তু আপনি যদি জ্ঞানী মানুষ হন তবে আপনি এটা মেনে নিতে পারবেন যে আপনি কিছুই জানেন না। আপনার জ্ঞান বেশি না।
একজন জ্ঞানি ব্যাক্তি এবং একজন সাধারণ মানুষের মধ্যে কি তফাৎ রয়েছে?
একজন জ্ঞানি ব্যাক্তি এবং একজন সাধারণ মানুষের মধ্যে তফাৎটা হলো তাদের সম্নানের এবং অভিমানের। আমাদের আশেপাশে খেয়াল করলে দেখা যাবে একজন জ্ঞানী মানুষ খুব শান্ত স্বভাবের হয় নয়তো খুব অহংকারী হয়।যে ব্যাক্তি শান্ত থাকে সে তার মস্তিষ্কের সকল কাজ জানে এবং নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু একজন বোকা ব্যাক্তির এই বিষয়ে কোন জ্ঞান থাকে না। আপনারা দেখবেন যখন একটি বাচ্চা আমাদের সামনে বোকা বোকা প্রশ্ন করে। যেমন আমরা কেন আকাশে উড়তে পারিনা, পাখিরা কেন কথা বলে না ইত্যাদি। তখন কিন্তু আমরা তাদের কথায় রাগ করি না। বরং তাদের কথায় আমরা একটি মুচকি হাসি হাসি। কেন? কারণ আমাদের কাছে সেই বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান আছে। কিন্তু যখন একটা বড় মানুষ আমাদের কে একটা কঠিন প্রশ্ন করে। কিংবা কেই যদি আপনাকে অনেক মানুষের সামনে হিরো হবার জন্য যদি বলে তুইতো এই জিনিসটা বুঝিসি না। তুইতো এই জিনিসটা করতেই পারিস না। এই কথা বলার মাধ্যমে সে অন্যদের হাসিয়ে ফেলল। এতে যে ব্যাক্তির জ্ঞান কম বা জ্ঞান নেই তার আত্নসম্মানে লাগবে। কিন্তু যদি আপনার জ্ঞান বেশি থাকে তবে আপনি এই বিষয়ে অপমানিতবোধ করবেন না। অর্থাৎ আপনাকে জ্ঞানী হতে হবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সহজভাবে বলি যদি আপনার কাছে জ্ঞন না থাকে তবে আপনার অভিমান, রাগ, হিংসা এগুলো বেশি হয়ে যাবে। আর যদি আপনার মধ্যে জ্ঞান থাকে তো আপনিও সেই সময় মুচকি হেসে দিবেন। মূল কথা জ্ঞানী মানুষ কখনও নিজেকে অপমানিত মেনে করে না। এটাই হলো জ্ঞানী মানুষের মূল বৈশিষ্ট্য। আর যদি আপনি মনে করেন যে আপনি সব জনেন বা পারেন। তার মতো বোকা পৃথিবীতে কেইমউ নেই। কারণ অজ্ঞানী হওয়ার মূল বৈশিষ্ট্য হলো নিজেকে জ্ঞানী মনে করা। তাই নিজেকে কখোনো জ্ঞানী মনে করা যাবে না। নিজের মধ্যে সব সময় ক্ষুধা থাকতে হবে৷ জ্ঞানের ক্ষুধা। তবেই আপনি জ্ঞানী হতে পারবেন।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্ত ছিল। আশা করি সবাই বিষয়টি ভালোকরে বুঝতে পেরেছেন। দেখা হবে আগামী পর্বে। বিদায়।

The post জ্ঞানী ব্যাক্তির কিছু বৈশিষ্ট্য। appeared first on Trickbd.com.



from Trickbd.com https://ift.tt/kTBnuVf
via IFTTT

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট