ফোন কিনে ঠকেছেন? মোবাইল ফোন কেনার আগে যেসব বিষয় অবশ্যই জেনে নেবেন । [বিস্তারিত]

হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন?
আশা করি খুবই ভালো আছেন । আজ আমরা জানবো যে, মোবাইল ফোন কেনার আগে অবশ্যই ফোনের যেসব বিষয় জেনে নিতে হবে ।

মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় একটি জিনিস ।
মোবাইল অনেক আগে শুধু কথা বলার কাজেই লাগত । তারপর এলো ইন্টারনেট ব্রাউজিং, আর যখন ইন্টারনেট ব্রাউজিং এলো, তারপর থেকেই যেনো মোবাইলের উপর আমাদের নির্ভরশীলতা শতগুন বেড়ে গেলো ।
ইন্টারনেটে আমরা অনেক কাজ করে থাকি এমনকি এই ইন্টারনেটে কাজ করেই অনেকে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে । আর যেহেতু এই সকল কাজ একটি মোবাইল দিয়ে করা হয় । তাই আপনি যখন একটি মোবাইল কিনবেন তখন আপনি অবশ্যই চাইবেন যেন আপনার কেনা ফোনটি ভালো হয় । আপনি কখনোই চাইবেননা যে টাকা খরচ করে কেনা ফোনটি খারাপ হোক ।
আজকে আমরা সেই আলোচনাই করবো, যেসব বিষয় জানা থাকলে আপনাকে কোনো ফোন কিনে ঠকতে হবেনা । তো চলুন শুরু করা যাক ।

আমরা ধাপে ধাপে সবকিছুই জানতে চলেছি ।প্রথমেই জানবোঃ

ফোনের ডিজাইনঃ

ফোন কিনলে প্রথমেই ফোনের ডিজাইনের দিকে নজর দিতে হয়। ফোনের ডিজাইন ভালো না হলে টাকা খরচ করে ফোন কেনার কোনো দামই থাকেনা। আজকাল অনেক ব্রান্ডের অনেক নতুন ডিজাইন বের করতেছে।
যদি আপনি ১৫-২০হাজার টাকার মধ্যে একটি ফোন কিনবেন বলে চিন্তা করে থাকেন, তাহলে আপনি খুবই ভালো ডিজাইনের একটি ফোন কিনতে পারেন । কিন্তু আপনি যদি ১৫-২০ হাজার টাকা দিয়ে একটি সাধারন ডিজাইনের একটি ফোন কেনেন, তাহলে আপনার ফোনটির কোনো দামই থাকবেনা এবং ফোনটিকে তেমন ভালো দেখাবে না । তাই একটি নতুন ফোন কেনার আগে অবশ্যই ফোনের ডিজাইন দেখে নেবেন ।

ফোনের ভার্সনঃ

আজকাল যত মোবাইল সফটওয়্যার,গেইমস ও অ্যাপস তৈরী হচ্ছে সেগুলো ব্যবহারের জন্য ফোনের অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনই হচ্ছে মূল বিষয় । মোবাইলের অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন যদি ১০ এর নিচে হয়ে থাকে, তাহলে অনেক অ্যাপস এবং গেইমই আপনার মোবাইলে ব্যবহার করতে পারবেন না তাই আমি সাজেষ্ট করবো যে, মোবাইল ফোন কিনলে অবশ্যই অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ১০+ এর ফোন কিনবেন । মোবাইল কেনার জন্য আপনার বাজেট যদি ১৫-২০ হাজারের মধ্যে হয়ে থাকে তাহলেই আপনি অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ১০থেকে ১২ এর একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনে নিতে পারবেন ।

ফোনের ব্যাটারিঃ

আমরা সবাই জানি, ব্যাটারি হলো মোবাইল ফোন চালিয়ে রাখার মূল বস্তু । ব্যাটারি ছাড়া মোবাইল চালানো যায়না ।
একটি ফোনের ব্যাটারির শক্তির ধারণক্ষমতা যত বেশি হয়, ফোনটিও ততবেশিক্ষন ধরে চালানো যায় । একটি স্মার্টফোনে যদি ৪০০০mAh ক্যাপাসিটি এর হয়ে থাকে এবং ফোনটিতে অল্প ব্রাউজ করা হয়, তাহলে ফোনটি প্রায় একদিনের কিছুটা কম সময় ধরে চালানো যাবে । আবার যদি একটি স্মর্টফোনে যদি ৬০০০mAh ক্যাপাসিটি এর একটি ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাহলে ফোনটি প্রায় ২দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে । আর যদি আপনার ফোন কেনার জন্য বাজেট ১৫০০০-২০০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে আপনি একটি ৬০০০mAh ব্যাটারি এর একটি ফোন কিনতে পারবেন । এখানে আমি আপনাদের সাজেষ্ট করবো ৬০০০ mAh এর একটি ফোন কিনতে ।

ফোনের ক্যামেরাঃ

যদি একটি ফোন থাকে তাহলে তার প্রথমেই নজর পড়ে ফোনের ক্যামেরার দিকে । উদাহরনস্বরুপঃআপনি আপনার কোনো বন্ধু বা কারো সাথে বেড়োলেন । তখধ আপনার কিছু ছবি করার কথা মনে পড়লো , কিন্তু আপনার ফোনের ক্যামেরার কোয়ালিটি খারাপ হওয়ায় আপনার তোলা ছবিও খারাপ হলো । এতে আপনার এবং আপনার বন্ধুদেরও মন খারাপ হবে । এখানে যদি আপনার ফোনের ক্যামেরা ভালো হতো তাহলে ছবিও খুবই ভালো হতো এবং আপনিও খুশি হতেন । তাই একটি ফোন কিনতে হলে আপনাকে ফোনের ক্যামেরার দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ।

ফোনের র্যাম ও রমঃ

RAM হলোঃ Random Access Memory
র্যামের কাজ হলো ফোনের সকল অ্যাপস ও গেইমসের ধারণ করা । র্যামের উপরেই নির্ভর করে যে আপনার ফোনের এ্যাপস ও গেইমস কতটা স্মুথলি চলবে । আমি বলবো যে কখনোই ২জিবির নিচের য্যামের ফোন কিনবেন । সবসময় চেষ্টা করবেন ২জিবির বেশি র্যামের ফোন কিনতে । আর যদি আপনার বাজেট ১৫-২০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে, তাহলে আপনি ৮জিবি র্যামের ফোনই কিনতে পারবেন ।

ROMহলোঃ Read Only Memory .
ROM এর কাজ হলো আপনার ফোনে অডিও,ভিডিও,পিকচার এবং অন্যান্য ফাইল ধারণ করা । ফোনের রম ৮জিবি,১৬,জিবি,৩২জিবি,৬৪জিবি ও ১২৮জিবি পর্যন্তও হয়ে থাকে । আমি বলবো যে কখনোই ৩২জিবি এর নিচের ফোন কিনবেন না । আর যদি আপনার ফোন কেনার বাজেট ১৫-২০হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে আপনি ১২৮জিবি রম এর ফোনই কিনতে পারবেন ।

ফোনের প্রসেসরঃ

প্রসেসর হলো ফোনের ব্রেইন । ফোন সকল কাজ করার জন্য সকল ধরণের সকল কাজ এই প্রসেসরই করে থাকে । আজকাল অনেক ফোনে অনেক প্রসেসরই ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যেমনঃ Quad-core, Octa-core ও SnapDragon । আপনি এর যেকোনো প্রসেসরের ফোনই কিনতে পারেন প্রসেসর কতটা ভালো তা নির্ভর করে প্রসেসরের কিছু বিশেষ বিষয়ের উপর যেমন, প্রসেসরের ক্লক টাইম,কোর সংখ্যা এবং আরো কিছু । আপনার ফোন কেনার বাজেট যদি ১৫-২০হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে আপনি স্নাপড্রাগন ব্যবহার করা ফোনই কিনতে পারবেন ।ফোন কিনতে আপনি আরো কিছু দিক দেখে নিতে পারেন, যেমনঃ

ফোনের ডিসপ্লে, ফোনের কভার, ফোনের ব্যাটারি সাইজ ইত্যাদি । এগুলো দেখার জন্য আপনি ফোন রিভিউ এর সাইটগুলোতে ভিসিট করতে পারেন, যেমনঃ
GSMARENA
MOBILEDOKAN

মোবাইল শো-রুম

আজকাল মোবাইল ফোন বিক্রি করার জন্য বাজারে অনেক দোকান আছে, যেখান থেকে আপনি চাইলেই ফোন কিনে নিতে পারেন। কিন্তু এইসব দোকান থেকে ফোন নিলে নানান অসুবিধা হতে পারে,, যেমন,
এইসব দোকানে অনেক সময় দেখা যায় যে,
এরা আপনাকে ১০হাজার টাকার একটি ফোনে আপনাকে ৫০০ টাকা ছাড় দিচ্ছে।
আপনিও যদি সেই ৫০০ টাকা বাঁচাতে ঐ দোকান থেকে ফোন কিনলেন, এবং দোকানদারও আপনাকে নকল একটা ফোন ধরিয়ে দিলো। আপনিও অল্প কিছুদিন ব্যবহার করার পরই ফোনটি নষ্ট হয়ে গেলো, এতে আপনার মন খুবই খারাপ হয়ে গেলো।

এটা আপনি কখনই চাইবেন না। তাই একটি ভালো ও আসল ফোন কেনার জন্য অবশ্যই একটি নির্ভরযোগ্য দোকান আা শো-রুম বেছে নিন। তো বন্ধুরা । আজ এপর্যন্ত,
ভালো থাকবেন,
সুস্থ থাকবেন,
TRICKBD এর
সাথেই থাকবেন ।
এই আশায় এখানেই শেষ করছি ।

নমষ্কার









The post ফোন কিনে ঠকেছেন? মোবাইল ফোন কেনার আগে যেসব বিষয় অবশ্যই জেনে নেবেন । [বিস্তারিত] appeared first on Trickbd.com.



from Trickbd.com https://ift.tt/3pIC6Lf
via IFTTT

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট