সামাজিক একটা ভুতের গল্প ।

হ্যালো ব্রো, স্বাগতম, সবাইকে, আমার আজকের আরেকটা নতুন টিউটোরিয়ালে । আশা করি সবাই খুবই ভালো আছেন। ভালো তো থাকারই কথা, কারন trickbd র সাথে থাকলে সবাই খুব ভালো থাকে । আর ভালো থাকার জন্যই মানুষ ট্রিকবিডিতে আসে। চলুন শুরু করা যাক।

আমার আজকের এই পোস্টে থাকবে আমার লেখা একটি ভৌতিক কাহিনী।

আত্মারামের ঘটকালি

ঘটনাটা ১৯৯৯ সালের।আমি তখন সদ্য রেলে স্টেশন মাস্টারের চাকরি নিয়ে সলপ স্টেশনে এসেছি।আমি জানি আপনি সলপ স্টেশনের নাম আগে শোনেন নি।না শোনারই কথা।এই স্টেশনের বিশেষত্ব হল এখানে দিনে দু বার একটি ট্রেনই থামে।এই ট্রেনটি হলো গাজীপুর থেকে রাজশাহী গামী লোকাল ট্রেন।সলপ স্টেশন সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। সিরাজগঞ্জ জেলায় মোট চারটি রেল স্টেশন রয়েছে।এর মধ্যে একটি সলপ স্টেশন।যেহেতু ট্রেন থামে না তাই এখানে কদাচিৎ যাত্রী ওঠা নামা করে।আর তাই আমার কাজও নেই বললেই চলে।
১৯৯৯ সালের বর্ষাকাল। সবে চাকরি নিয়ে সলপ স্টেশনে এসেছি।ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই স্টেশনের তেমন কোন উন্নয়ন হয় নি।শুধু স্বাধীনতার পর দুটি এক তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।আর রয়েছে এক তলা একটা ভবন যা ব্রিটিশ আমলে নির্মিত। এখন ভগ্নপ্রায় দশা।ভবনের ভেতর বট গাছ গজিয়েছে। সন্ধ্যার পর এই স্টেশন ধারণ করে ভৌতিক রুপ।এরকম একটি পরিবেশেই আমাদের কাজ।
এখানে এসেই সবার আগে যে সমস্যার পরতে হলো তা হলো থাকার জায়গা।গ্রাম্য অঞ্চল, তাই ভাড়া বাড়ি পাওয়া সম্ভব নয়। আর তাই আমার ঠাই হলো স্টেশন মাস্টারের অফিসের পাশে একটা ছোট্ট ঘরে।এ ঘরে সর্ব সাকুল্যে একটা সিঙ্গেল বেড আর কেরোসিন স্টোভের জায়গা হয়।আর সাথে একটা বুক শেল্ফের।কষ্ট করেই থাকতে হয়।
এখানে প্রথম মাস কোন মতে কেটে গেল।এর পরই শুরু হলো উপদ্রব।কিসের উপদ্রব? তা বলা মুশকিল।
বর্ষার পানিতে চারিদিক থৈথৈ করছে।মাঝে মাঝেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামছে।আবার কিছুক্ষণ পরেই থেমে যাচ্ছে। রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী। তবে আমার তেমন সমস্যা হচ্ছে না।আমি এমনিতেও খুব একটা বেশি বাড়ির বাইরে যাই না।
এরকমই এক বর্ষণমুখর রাতের কথা।সন্ধ্যা সাতটার সময় ট্রেন আসার কথা ছিল।কিন্তু ঝড়ের কারণে রেললাইনে গাছ পরে গেছে। আর তাই ট্রেন আসতে পারছে না।ট্রেন কখন আসবে তাও জানা যায় নি।তাই নিজের ঘরে বিছানায় আধ শোয়া হয়ে বসে বই পরছি।ব্যোমকেশ বক্সীর চিত্রচোর।এমন সময় হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে গেল।চারিদিক ঘুটঘুটে অন্ধকার।তাই মোমবাতি জালালাম।কিন্তু বাতাসে আগুন নিভে গেল।আমি তাই জানালা বন্ধ করে দিয়ে আবার মোমবাতি জালাতে যাব তখনই জানালার বাহির থেকে আওয়াজ এলো,
-স্যার কি ভিতরে আছেন?
-হ্যা।
আমিই এই গ্রামের এক মাত্র সরকারি কর্মকর্তা। তাই এখানে সবাই আমাকে স্যার বলে ডাকে।আমি জানালা খুললাম।বাইরে একজন দাঁড়িয়ে আছে।কিন্তু তার চেহারাটা ভাল করে দেখা যাচ্ছে না।
-স্যার ভিতরে আসব।
-আপনি কে?
-আমাকে আপনি চিনবেন না।
-আসুন।
আমি আবার মোম বাতি জালানোয় মনযোগ দিলাম।লোকটা ভেতরে প্রবেশ করল।আমার যতদূর মনে পরে আমি দরজা লাগিয়েছিলাম।তাহলে ইনি ভিতরে প্রবেশ করলেন কিভাবে?নাকি দরজা লাগাতেই মনে ছিল না?লোকটা একটা চেয়ার টেনে আমার সামনে বসল।
-আপনি কোথা থেকে এসেছেন?
-মানে?
-মানে কোথায় থাকেন?
-থাকি তো এখানেই।
-এখানে কোথায়?
-এই ইস্টিশনে।
সলপ স্টেশনে কোন লোক থাকে বলে তো জানি না।গ্রামাঞ্চলে কেউ স্টেশনে থাকে না।এখানে সবারই থাকার জায়গা আছে।শুধু মাত্র শহরাঞ্চলেই মানুষ গৃহহীন।তাই স্টেশনে থাকে।
-স্টেশনের কোথায় থাকেন?
-পুরাণ ইস্টিশন ঘরে।
-আপনার নামটা তো বললেন না।
-আজ্ঞে আত্মারাম ঘোষাল।
-আপনি হিন্দু?
-যখন  বেঁচে ছিলাম তখন তো হিন্দুই ছিলাম।তবে এখন..
কথাটা শুনেই যেন ধাক্কা খেলাম।মাথাটা ঘুরে উঠল।বেঁচে ছিলাম মানে কি বলতে চাইছে?
-বেঁচে ছিলাম মানে?এখন বেঁচে নেই?
-আজ্ঞে না।
মাথাটা আবার ঘুরে উঠল।আমি কি জেগে আছি? নাকি কোন স্বপ্ন দেখছি।আবার লোকটার দিকে তাকালাম।এখনও বসে আছে।আমি কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলাম। তখনই কারেন্ট চলে এলো।ঘরটা আলোকিত হয়ে উঠল।সামনের চেয়ারের দিকে তাকিয়ে দেখি সেখানে কেউ বসে নেই।আবার ধাক্কা খেলাম।দরজার দিকে তাকিয়ে দেখি দরজা ভেতর থেকে বন্ধ।ঘরের ভেতরে কেউ নেই।আমি উঠে দাঁড়ালাম। আসে পাশে আরো একবার তাকিয়ে দেখলাম।না,কেউ নেই। তাহলে কি স্বপ্ন দেখছিলাম?
তখনই জোড়াল শব্দ শুনে আৎকে উঠলাম।কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারলাম ট্রেনের শব্দ।গায়ে শার্ট জড়িয়ে দরজা খুলে বের হলাম।কার্যক্রম সমাধা করে আবার ঘরে ঢুকলাম।মগে পানি নিয়ে বাইরে এসে হাত মুখে পানি দিলাম।এর পর ঘরে ঢুকে শুয়ে পড়লাম।সে রাতে আর বিদ্যুৎ আর যায় নি।আর তেমন কোন সমস্যাও হয় নি।
পরদিন কোন ট্রেন আসে নি।রেললাইনে নাকি গাছ পড়েছে।তাই উত্তরবঙ্গের সাথে রেল যোগাযোগ বন্ধ।আমিও বেশ ঝাড়া হাত পা।তাই সন্ধ্যার পর ঘরে বসে বই পড়ছিলাম।হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেল।বই হাত থেকে রেখে কুপি বাতি জালাতে যাচ্ছি। তখনই আবার সেই আওয়াজ।
-বাবু ভেতরে আসব?
আমি থ মেরে গেলাম।আবার সেই লোক?আমি পেছনের দিকে ঘুরে তাকালাম।জানালা খোলা।কিন্তু বাইরে কাউকে দেখা যাচ্ছে না।
-আমাকে খুঁজতেছেন?
-আওয়াজটা ঘরের ভেতর থেকেই এলো।আমি ভেতর দিকে তাকালাম।আবছা আলোয় লোকটাকে দেখতে পেলাম।আগের মতই আমার খাটের সামনের চেয়ারে বসে আছে।আমার স্পষ্ট মনে আছে আমি দরজা লাগিয়েছিলাম। তাহলে কি আবার স্বপ্ন দেখছি?
-কি হলো? কিছু বলছেন না যে?
-আ-আপনি?
-জানি ভয় পেয়েছেন।ভয় পাবেন না।আমি খারাপ মানুষ নই।নাকি বলব খারাপ ভুত নই?
-আপনি আসলেই..?
-আজ্ঞে।
-আমার কাছে কি মনে করে?
-আজ্ঞে এর আগে যাদেরই দেখা দিয়েছি তারাই পালিয়েছে।তা আপনি পালালেন না,তাই দেখেই এলুম।
-ও।
-আপনি কি এখনও ভাবছেন আপনি স্বপ্ন দেখছেন।নিজেকে একবার চিমটি কেটে দেখতে পারেন।
আমিও বোকার মত নিজেকে চিমটি কাটলাম।না,স্বপ্ন দেখছি না।
-আরো কোন প্রমাণ চান।
আমি আস্তে আস্তে বললাম,
-না।
-তাও ভাল।
-না, মানে আমার কাছে কি চান তা তো বললেন না।
-আপনি হয় খুবই সাহসী অথবা এখনো এটা স্বপ্ন মনে করছেন।
-না।
-আমি এখন উঠি।
-আচ্ছে।
-কেন উঠছি জানেন?
-না।
-এখুনই বিদ্যুৎ আসেবে। তখন তো আমি থাকতে পারব না।
-হ্যা।
এরপর আগের বারের মতই ঘরের ভেতর থেকে উধাউ। আবারো কি স্বপ্ন?তবে এবার আমার সন্দেহ দূর হলো।কিছুক্ষণের মধ্যেই ইলেক্ট্রিসিটি চলে এলো।লোকটা যা বলেছে তা মিলে গেছে তাহলে কি যা ঘটেছে তা কি সত্য?সেটা কিভাবে সম্ভব?
এসব কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম।পরদিন অফিসের কাজ শেষ করে বিকেলের দিকে গ্রামের ভেতর দিকে গেলাম।কাল রাতে যা ঘটেছে তার পর সকাল থেকেই মাথাটা ঝিমঝিম করছিল।রাতের ঘটনা সত্যি না মিথ্যে তা এখনো বুঝতে পারছি না।
গ্রামের ভেতর দিকে নদীর পাশে একটা গাছের নিচে নিয়ে বসলাম।নদীর দিক থেকে ঠান্ডা হাওয়া আসছিল।চোখটা লেগে এলো।কিন্তু কিছুক্ষণ পরই একটা পরিচিত আওয়াজ শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেল।
-ঘুমিয়েছেন নাকি?
চোখ খুলে দেখি আশেপাশে অন্ধকার হয়ে এসেছে।আবারও সেই আওয়াজ,
-ঘুমিয়েছেন নাকি?
আমি পেছনে ঘুরে দেখলাম।গাছের পেছন দিকে সেই লোকটা।ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।
-উঠে পড়ুন,উঠে পড়ুন।
আমি উঠে দাড়ালাম।
-তাড়াতাড়ি স্টেশনে যান। বড় সাহেব এলো বলে।
-বড় সাহেব এখানে কোথা থেকে আসবে?
-সে সব পড়ে বলব।এখন যান।
আমি উঠেই দৌড় দিলাম।কেন দৌড়াচ্ছি জানি না।আসলেই কি লোকটা সত্যি কথা বলেছে?আমি অফিসে পৌছালাম।অফিসের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে বাতি জ্বালাচ্ছিল তখনই শফিক সাহেব ঘরে ঢুকল।শফিক সাহেব আমার বড় সাহেব।কিন্তু এখানে কি করছে?
-আপনি?
-হ্যা দেখতে এলাম।আসলেই কাজ করছেন, নাকি ঘুরে বেড়াচ্ছেন?
-না।না।ঘুরে বেড়াব কেন?
-হ্যা, তাই।কাজ ভালো করে করলেই ভালো।
-আসি।
-চা খেয়ে যান।
-না।আসি।
চলে গেলেন তিনি।আমি নিজের ঘরে গিয়ে খাটের ওপর বসলাম।কি হচ্ছে এসব?আসলেই কি?
-আসব?
আমি ঘুরে তাকালাম।দেখি সেই লোক।এবার আলোয় মুখটা স্পষ্ট করে দেখা যাচ্ছে। মুখ ভর্তি দাড়ি, গোঁফ।সাদা চুল।
-আসব?
-আসুন।
আগের মতো চেয়ার টেনে বসল।
-আমার কাছে কি চান?
-আজ্ঞে তেমন কিছু না।তবে আপনি আমার কাছে কি চান তা বোধহয় আন্দাজ করতে পারছি।
-কি চাই?
-থাকার জন্য একটা ভালো বাড়ি।তাই তো?
-হ্যা।
– সে ব্যবস্থাও আছে।
-আছে?
-হ্যা।
-কি ব্যবস্থা?
-বিয়ে করে ফেলুন।
-বিয়ে?
-হ্যা।এই গেরামে এক মেয়ে আছে।নাম বিলকিস।খুব ভালো মেয়ে। ওকে বিয়ে করে ফেলুন।সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
-ভুত হয়ে ঘটকালী?
-কি আর করি বলুন।মেয়েটার দুঃখ তো আর চোখে দেখা যায় না।বাপটা মরেছে মাস কতক হলো।মেয়েটার শেষ সম্বল ভিটেটাও বিক্রি করে দেবে।আপনি মেয়েটাকে বিয়ে করলে ওরও একটা গতি হয়।আপনারও সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। আচ্ছা আমি আসি এখন।
লোকটা আবার চলে গেল।এবার চোখের সামনে থেকে মিলিয়ে গেল।তবে ব্যপারটা আমার কাছে স্বাভাবিক হয়ে গেছে।এখন আমি নিশ্চিত এটা স্বপ্ন নয়,বাস্তব।আলো বন্ধ করে শুয়ে পরলাম।গভীর রাতে একটা চিৎকার শুনে ঘুম ভাঙল। আমি তাড়াতাড়ি  দরজা খুলে ঘর থেকে বের হলাম।বাইরে গিয়ে দেখি প্লাটফর্মের ল্যাম্পপোস্টের সাথে একজন মানুষ বাধা।আমি দৌড়ে গিয়ে তার বাদন খুলতে যাব, তখনই আত্মারামের আওয়াজ।
-খুলবেন না।ব্যাটা আপনার ঘরে চুরি করতে এসেছিল।তাই বেধে রাখলুম। আপনি বরং পুলিশকে খবর দিন।
আমি কিছুক্ষণ থ মেরে বসে রইলাম।তারপর ছুটে গিয়ে পুলিশ স্টেশন থেকে দুজন হাবিলদারকে ডেকে নিয়ে এলাম।তারা দেখেই লোকটাকে চিনতে পেরে গেল।এর আগেও ব্যাটাকে কয়েকবার চুরির দায়ে ধরেছিল।লোকটাকে পুলিশ নিয়ে গেল।খবরটা এলাকায় ঠাওর হয়ে গেল।পরদিন সকাল হতে না হতেই লোকজনের আগমন ঘটতে শুরু করল।চোর ধরেছি বলে সবাই বাহবা দিতে এসেছে।কিন্তু আমার বেশি মানুষজন পছন্দ নয়।কিন্তু এদের তো ফিরে যেতেও বলতে পারছি না।খুব বিরক্ত লাগছে।এভাবে সারাদিনই কিছুক্ষণ পর পর লোক আসতে থাকল।
দুপুর হয়ে এলো। খাবার রান্না করা হয় নি।লোক জনের ভিড় দুপুরের দিকে কমে গেল।আমি রান্না করতে যাব তখনই ঘরের দরজায় টোকা পড়ল।একটা মেয়েলি কন্ঠে আওয়াজ এলো,
-আসব?
আমি পেছন দিকে তাকালাম।দরজার কাছে শাড়িপরিহিতা এক মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।গায়ের রঙ শ্যামলা। তবে অপূর্ব সুন্দরী।
-আব্দুল চাচা ভাত পাঠাইছে।
-ও,আচ্ছা।রেখে যান।
মেয়েটা খাবার ঘরে রেখে চলে গেল।তবে এতক্ষণে এক বারও আমার দিকে তাকায় নি।সবসময় নিচের দিকে তাকিয়ে ছিল।মেয়েটা খাবার দিয়ে চলে গেল।আমিও তখনই খেতে বসলাম।খাবার সময় হঠাৎ করেই আবার আত্মারামের আগমন। তবে এবার দেখতে পেলাম না।শুধু শব্দ শুনতে পেলাম।
-কেমন দেখলেন?
-কে?
-আমি আত্মারাম।
-ও।তা সামনে আসুন।
-দিনের বেলা আমি দেখা দিতে পারি না।
-ও।তা কি দেখার কথা বলছিলেন?
-বললাম বিলকিসকে কেমন দেখলেন?
-কে বিলকিস?
-এই যে আপনাকে খাবার দিয়ে গেল।
-আসলে..
-বিয়ে করতে রাজি থাকলে বলুন।মেয়েটাও বেঁচে যায়।
-আচ্ছা দেখছি।

এ ঘটনার পর ৭ বছর পেড়িয়ে গেছে।বিলকিসকে বিয়ে করেছি।এখন আমি রাজশাহী স্টেশনে কর্মরত আছি।সলপ স্টেশনে আমার আর ফিরে যাওয়া হয় নি।আত্মারামেরও আর দেখা পাই নি।

আজ এ পর্যন্তই আপনাদের যদি এসব কাহিনী ভালো লাগে তাহলে আমি আরো অনুপ্রেরণা পাব । তাই আপনারা চাইলে কমেন্টে আমাকে উৎসাহ দিয়ে কমেন্ট করতে পারেন । ধন্যবাদ গল্পটা পড়ার জন্য।

তো তাহলে আমার আজকের পোস্ট আমি এখানেই শেষ করছি। আশা করছি পোস্টটি আপনার বিন্দুমাত্র হলেও উপকার করবে। সবাইকে ধন্যবাদ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।

মানুষ মাত্রেই ভুল হয় , তাই পোষ্টে কোন ভুল থাকলে দয়া করে মাপ করে ‍দিয়েন, আর প্লিজ কমেন্টে লিখে ভুলগুলা শোধরানোর সুযোগ করে ‍দিয়েন।
কোন কিছু না বুঝলে বা কোন কিছু জানার থাকলে, আমাকে কমেন্টে জানান।
পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি লাইক দিবেন এবং কমেন্টে তা জানিয়ে দেবে যেন আমি আরো নতুন নতুন পোস্ট করার উৎসাহ পাই।

আর এরকম নিত্যনতুন আরো তথ্য জানতে এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকার জন্য আপনি আমাদের ফেইসবুক গ্রুপে জয়েন হতে পারেন l group link—>

আর যেকোন প্রবলেমে ফেসবুকে আমি [—>profile link]
তাহলে সবাইকে ট্রিকবিডির সাথে থাকার জন্য আমন্ত্রন জানিয়ে আজকে আমি আমার আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।


The post সামাজিক একটা ভুতের গল্প । appeared first on Trickbd.com.



from Trickbd.com https://ift.tt/2KD3gac
via IFTTT

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট