ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায়


গ্রীষ্মের তীব্র রোদ এবং অতিরিক্ত গরমের কারণে ত্বকের যত্ন নেওয়া এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও সানস্ক্রিন ব্যবহার করে ত্বককে রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়, তবুও অনেক ক্ষেত্রেই ট্যান বা রোদে পোড়া দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

তবে, ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে এবং রোদে পোড়া দাগ কমাতে খুব বেশি চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। আমাদের রান্নাঘরে থাকা কিছু সাধারণ উপাদানই হতে পারে আপনার ত্বকের সেরা বন্ধু। এসব প্রাকৃতিক উপাদানগুলোতে লুকিয়ে রয়েছে ত্বকের যত্নের জাদুকরী সমাধান, যা ব্যবহার করে আপনি সহজেই ঘরে বসে ত্বকের সমস্যা সমাধান করতে পারেন।

আসুন, ঘরোয়া এই উপাদানগুলোর মাধ্যমে কীভাবে রোদে পোড়া ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়, তা জেনে নিই।

১) লেবুর রস এবং মধু

লেবুর রস এবং মধু ত্বকের যত্নে একটি প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লেবুর রসে রয়েছে ভিটামিন সি এবং প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকরী। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করে ত্বকের টেক্সচার উন্নত করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, মধু একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে, যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে।

এই দুই উপাদানের মিশ্রণটি বিশেষত রোদের কালচে দাগ ও ছোপ দূর করতে বেশ কার্যকর। ত্বকে নিয়মিত রোদ ও ধুলাবালির প্রভাবে যে কালো ছোপ পড়ে, তা দূর করতে এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে প্রতিদিন ব্যবহার না করে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই মিশ্রণটি ব্যবহার করা যথেষ্ট। 

ব্যবহার পদ্ধতি:

  • ১. একটি ছোট বাটিতে এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন।
  • ২. মিশ্রণটি ত্বকে মাখুন, বিশেষত যেখানে কালচে দাগ বা ছোপ আছে সেসব জায়গায় ভালোভাবে লাগান।
  • ৩. মিশ্রণটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট ত্বকে রাখতে দিন।
  • ৪. এরপর হালকা গরম পানিতে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। 

এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং কালচে দাগ ও ছোপ কমে যাবে। তবে যাদের ত্বক সংবেদনশীল, তাদের জন্য এটি ব্যবহার করার আগে প্যাচ টেস্ট করা উচিত, কারণ লেবুর রস কিছু ক্ষেত্রে ত্বকে জ্বালাপোড়া করতে পারে। 

এছাড়া, ত্বকের অন্যান্য প্রয়োজনীয় যত্ন ও সুরক্ষার বিষয়েও মনোযোগী হওয়া উচিত, যেমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা।

২) শসা এবং টক দইয়ের মাস্ক

শসা এবং টক দইয়ের মাস্ক ত্বকের যত্নে একটি দারুণ প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে রোদে পোড়া ত্বক থেকে দাগ-ছোপ দূর করতে এবং ত্বকের জ্বালাভাব কমাতে এই মাস্ক অত্যন্ত কার্যকর। রোদে দীর্ঘ সময় থাকার কারণে ত্বকে কালচে দাগ, ছোপ এবং লালচেভাব দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যা দূর করতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারে যে ফল পাওয়া যায়, তা অত্যন্ত নিরাপদ এবং কার্যকর।

শসা একটি প্রাকৃতিক কুল্যান্ট হিসেবে কাজ করে, যা ত্বকের শীতলতা বজায় রাখে। এতে আছে প্রচুর পানি, যা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে এবং জ্বালাভাব কমায়। অন্যদিকে, টক দইয়ে আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা ত্বক থেকে মরা কোষ দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের টোন উন্নত করে। টক দই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সহায়ক। 

এই মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি রোদে পোড়া ত্বকের সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের দাগ-ছোপ কমে আসবে এবং ত্বক আগের চেয়ে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত দেখাবে।

ব্যবহার পদ্ধতি:

  • ১. প্রথমে কয়েকটি শসার টুকরো কেটে নিন। চাইলে শসা ব্লেন্ড করে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করতে পারেন।
  • ২. এবার একটি বাটিতে এক টেবিল চামচ টক দই নিয়ে তার সঙ্গে শসার পেস্টটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • 3. মিশ্রণটি ত্বকে সমানভাবে মেখে নিন, বিশেষ করে যেসব স্থানে রোদে পোড়া দাগ বা জ্বালাভাব আছে।
  • ৪. এই মিশ্রণটি ত্বকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত রাখতে দিন। এই সময়ের মধ্যে ত্বক শীতল হবে এবং পুষ্টি শোষণ করবে।
  • ৫. এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। 

এই মাস্কটি আপনি সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের দাগ-ছোপ কমে আসবে এবং ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। তাছাড়া, যাদের ত্বক খুবই সংবেদনশীল, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ মাস্ক, কারণ এটি ত্বকের জ্বালাভাব কমিয়ে ত্বককে শীতল ও মসৃণ করে তোলে।

প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া সবসময়ই ভালো, কারণ এতে কোন রাসায়নিক পদার্থের ক্ষতিকর প্রভাব থাকে না। তাই নিয়মিত শসা ও টক দইয়ের মাস্ক ব্যবহার করে ত্বকের স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য বজায় রাখতে পারেন।

৩) পেঁপে এবং মধুর প্যাক

পেঁপে এবং মধুর প্যাক একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চর্চার উপাদান যা ত্বককে উজ্জ্বল ও কোমল করে তোলে। পেঁপে একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের প্রাকৃতিক উৎসেচক, যেমন প্যাপেইন। এই উৎসেচকগুলো ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে, যা ত্বকের টেক্সচারকে মসৃণ করে এবং ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়ায়। অন্যদিকে, মধু একটি প্রাকৃতিক হিউমেক্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করে, যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং ত্বককে নরম ও কোমল রাখে।

পেঁপে এবং মধুর এই মিশ্রণটি ত্বকে প্রাকৃতিক গ্লো আনতে এবং ত্বকের সঠিক পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে এই প্যাক ত্বকের মলিনতা দূর করে এবং ত্বককে করে তোলে প্রাণবন্ত।

এই প্যাক তৈরি এবং ব্যবহারের জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

  • ১. প্রথমে একটি পাকা পেঁপের টুকরো নিন এবং সেটিকে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
  • ২. এর সাথে এক থেকে দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। মধু এবং পেঁপের মিশ্রণটি ঘন হওয়া উচিত যাতে এটি ত্বকে সহজে লেগে থাকে।
  • ৩. এই মিশ্রণটি আপনার মুখ ও ঘাড়ে সমানভাবে মেখে নিন।
  • ৪. মিশ্রণটি ত্বকে ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত রাখতে দিন। এই সময়ের মধ্যে পেঁপের উৎসেচক ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে কাজ করবে এবং মধু ত্বককে আর্দ্রতা দেবে।
  • ৫. সময় হয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন এবং ভালো করে শুকিয়ে নিন। 

এই প্যাকটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক হবে আরও কোমল ও মসৃণ। 

তবে, ত্বকের প্রকারভেদে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে পেঁপে বা মধুতে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই প্রথমবার ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া উচিত। পেঁপে এবং মধুর এই প্রাকৃতিক প্যাকটি ত্বকের যত্নে একটি সহজ ও কার্যকরী সমাধান হিসেবে কাজ করবে, যা আপনাকে দেবে সুস্থ ও উজ্জ্বল ত্বক।

৪) আলুর রস

আলুর রস ত্বকের দাগ-ছোপ দূর করার জন্য একটি প্রাকৃতিক ও অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। শুধু রোদে পোড়া দাগই নয়, ত্বকের যে কোনো ধরনের কালচে দাগ বা ছোপ দূর করতে আলুর রস বিশেষভাবে কার্যকর। আলুতে রয়েছে ক্যাটেকলেজ নামক একটি প্রাকৃতিক উৎসেচক, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ত্বকের বিবর্ণতা দূর করে।

আপনি যদি ত্বকের দাগ-ছোপের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে আলুর রস ব্যবহার করে প্রাকৃতিক উপায়ে এই সমস্যা দূর করতে পারেন। এটি ত্বকের জন্য খুবই মৃদু, তাই নিয়মিত ব্যবহার করলেও ত্বকের কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

ব্যবহার পদ্ধতি:

  • ১. প্রথমে একটি আলু নিন এবং সেটিকে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করুন।
  • ২. এরপর আলুটিকে ছোট টুকরো করে কেটে নিন এবং একটি খোসা ছাড়ানো ছাকনি বা কাপড়ের মধ্যে রেখে আলু থেকে রস বের করে নিন। চাইলে ব্লেন্ডারেও আলু ব্লেন্ড করে ছেকে রস বের করতে পারেন।
  • ৩. একটি তুলার বল বা তুলার প্যাড নিন এবং সেটিকে আলুর রসে ভিজিয়ে নিন।
  • ৪. এবার তুলার বলটি ত্বকের পোড়া দাগ বা ছোপের ওপর আলতো করে লাগিয়ে দিন। 
  • ৫. রসটি ত্বকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন, যাতে আলুর রস ভালোভাবে ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে।
  • ৬. এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন।

এই প্রক্রিয়াটি প্রতিদিন একবার বা সপ্তাহে কয়েকবার করে করলে ধীরে ধীরে ত্বকের দাগ-ছোপ কমে আসবে এবং ত্বক আরও উজ্জ্বল দেখাবে। 

এটি একটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতি, তাই দাগ ছোপ দূর করার পাশাপাশি ত্বকের স্বাভাবিক স্বাস্থ্যও বজায় থাকবে। যাদের ত্বক খুব সংবেদনশীল, তাদের জন্যও এটি একটি আদর্শ উপাদান, কারণ এটি ত্বকে কোনো রকমের জ্বালাভাব সৃষ্টি করে না। 

তবে ভালো ফল পেতে হলে এটি নিয়মিত ব্যবহার করা প্রয়োজন। আলুর রস ব্যবহার করে আপনি সহজেই ত্বকের দাগ-ছোপ দূর করে ত্বককে আরও উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত করতে পারবেন।

৫) টমেটো এবং মধু প্যাক

টমেটো এবং মধুর প্যাক ত্বকের যত্নে একটি অসাধারণ প্রাকৃতিক সমাধান। টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা ত্বকের কালচে ছোপ দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকর। টমেটোর মধ্যে থাকা লাইসোপিন এবং প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট ত্বকের মলিনতা দূর করে এবং ত্বককে আরও উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে। ঠিক লেবুর রসের মতোই, টমেটোও রোদে পোড়া দাগ ও ছোপ তুলে ফেলতে সাহায্য করে। 

মধু, যার প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজিং গুণ ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, টমেটোর সঙ্গে মিলে ত্বককে করে তোলে কোমল ও প্রাণবন্ত। 

আপনি যদি ত্বকের রোদে পোড়া দাগ বা কালচে ছোপের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তবে টমেটো এবং মধুর এই প্যাকটি আপনার ত্বকের জন্য হতে পারে এক চমৎকার সমাধান।

ব্যবহার পদ্ধতি:

  • ১. প্রথমে একটি টমেটো নিন এবং সেটিকে ভালোভাবে কেটে নিন। এরপর টমেটোটিকে ব্লেন্ড করে বা হাতে চেপে তার রস বের করে নিন।
  • ২. এই টমেটোর রসের সাথে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে একটি মসৃণ প্যাক তৈরি করুন।
  • ৩. মিশ্রণটি ত্বকের সেই অংশে মাখুন, যেখানে রোদে পোড়া দাগ বা কালচে ছোপ রয়েছে।
  • ৪. প্যাকটি ত্বকে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন, যাতে টমেটোর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ব্লিচিং এজেন্ট ত্বকের গভীরে কাজ করতে পারে।
  • ৫. সময় হয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন।

এই প্যাকটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে ত্বকের দাগ-ছোপ কমে আসবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। টমেটো এবং মধুর সংমিশ্রণ ত্বকের পুষ্টি যোগায় এবং ত্বককে করে তোলে নরম ও মসৃণ।

তবে, ত্বকের সংবেদনশীলতার কথা মাথায় রেখে প্রথমবার ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া উচিত। প্রাকৃতিক উপাদানে ভরপুর এই প্যাকটি আপনার ত্বকের জন্য একটি নিরাপদ ও কার্যকরী সমাধান হিসেবে কাজ করবে, যা আপনাকে দেবে দাগহীন, উজ্জ্বল ও সুন্দর ত্বক।

সর্বশেষ কথা:

প্রিয় পাঠক আশা করি আপনি আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি পড়ে জানতে পেরেছেন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। যদি পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে ততক্ষণ পর্যন্ত নিজের খেয়াল রাখুন সর্বদা ভালো থাকুন ধন্যবাদ।
শাকিব খানের তুফান মুভি সহ যে কোন মুভি ডাউনলোড করতে ভিজিট করুন Www.DjMamun.Com

The post ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায় appeared first on Trickbd.com.



from Trickbd.com https://ift.tt/wDfFkeA
via IFTTT

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট