ছাপড়ি ফ্রীলান্সারদের কে কিভাবে চিনবেন? হ্যা ভাই প্রতিটা জিনিসের মতো এখন ফ্রীলান্সিং সেক্টরটিও ছাপড়িদের দখলে চলে এসেছে। তো আজকে আমি সেরকম কিছু ছাপড়ি ফ্রীলান্সারদের চেনার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন অযথা কথা না বলে ছাপড়ি ফ্রীলান্সারদের চিনে ফেলি।
- ১! ( নামের আগে ফ্রীলান্সার ) ফ্রীলান্সিং করতে পারুক আর না পারুক দুইদিন ফ্রীলান্স মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৈরী করার পর পরই সোস্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল গুলোর নামের আগে “Freelancer ” শব্দটি বড় করে লিখে ফেলবে।
- ২! ( ডলারের স্ক্রিনশট ) দুই একটা কাজ করেই ইনকামের স্ক্রিনশটটি সোস্যাল মিডিয়াতে গান, অথবা মোটিভেশানাল সাউন্ড সহ পোস্ট করবে।
- ৩! ( বেস্ট মোটিভেশন ) কয়েকটা কাজ শেষ করে সেগুলোতে ৫ স্টার রিভিউ পাওয়ার পর পরই তারা নিজেদেরকে সিনিয়র ফ্রীলান্সার মনে করা শুরু করবে এবং অন্যদেরকে সোস্যাল মিডিয়াতে সফলতার গল্প শুনিয়ে মোটিভেশন দিবে।
- ৪! ( ইয়া বড় সেট-আপ ) ফ্রীলান্সিং শুরু ঠিকভাবে হতে না হতেই কয়টা ডলারের মুখ তারা দেখতে না দেখতেই হাই কনফিগারেশনের পিসি বিল্ড করে ফেলবে। ইয়া বড় মনিটর থাকবে, হাতে থাকবে আপেল ১৫ প্রো ম্যাক্স, আর এগুলো নিয়ে চলতে থাকবে সোস্যাল মিডিয়াতে তুমুল শো-অফ।
- ৫! ( নতুন শব্দ অ্যাটিটিউড ) শুধু ২-১ টা মাস সফল ভাবে কয়টা অর্ডার কমপ্লিট করার পর পরই তাদের খুব বেশি ভাব বেড়ে যাবে আগে যেই মানুষটা দিনের পর দিন আপনার ইনবক্সে পড়ে থাকতো এখন তাকে একটা মেসেজ দিলে তার রিপ্লাই পাওয়াটা আপনার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাড়াবে। কারণ ভাই তাদের তখন এসব ছোট মন মাইন্ডের লোকদের সাথে কথা বলার সময় থাকবে না। তাদের ঝুড়িতে তখন “ইগো” “অ্যাটিটিউড” সহ আরো নানান নানান নতুন শব্দ যুক্ত হবে।
- ৬! ( তাবিজ বাবা ) এভাবে মার্কেটপ্লেস গুলোতে সফলতার সাথে ৫ থেকে ১০ টা প্রজেক্ট কোনো রকম কমপ্লিট করতে পারলে তাদের পরবর্তী কাজ হবে তাবিজ বিক্রি করা। ইয়ে মানে কোর্স সেল করা। খুব সহজেই একটা ফেসবুক পেইজ আর বেশি হলে একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে খোকা মাঠে নেমে পড়বে তাবিজ বিক্রির প্রতিযোগিতায়।
মোটামুটি এই কয়টা লক্ষনই আপনাদেরকে জানিয়ে দিলাম। এই লক্ষণ গুলোর যেকোনো দুই একটা দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন যে আসলেই মানুষটা ছাপড়ি নামক ফ্রীলান্সার কিনা? ফ্রীলান্সিং জিনিসটা অনেক সুন্দর একটা জিনিস যেটা দিনের পর দিন নষ্ট হয় যাচ্ছে কিছু এই ধরণের সামান্য জ্ঞান ওয়ালা পাবলিকদের জন্য। যারা ওমক স্যার তমুক স্যারের থেকে কোনো রকম একটা সস্তা কোর্স করেই নেমে পড়ে ফ্রীলান্সিং এর প্রতিযোগিতায়। এদের মধ্যে নোলেজের ন শব্দটা থাকলেই এরা নিজেদেরকে বড় কিছু ভাবতে শুরু করে। সমাজে আরো মূর্খতা ছড়াতে থাকে। ওদের দেখে বাচ্চা বাচ্চা পোলাপাইন পড়ালেখা ছেড়ে ডলার কামাতে চলে আসে
তাইলে ভাই? ফ্রীলান্সার হও ছাপড়ি হইয়ো না। আগে যেকোনো একটা বিষয় নিজের স্কিল ডেভেলপমেন্ট করেন তারপর আসুন ফ্রীলান্সিং করতে নাইলে দুইদিন পর কাজ না বুঝতে পেরে তাবিজ বিক্রি করে সংসার চালাতে হবে । ভাই এতোটাও সহজ না ফ্রীলান্সিং জিনিসটা।
The post ছাপড়ি ফ্রীলান্সার 😂 appeared first on Trickbd.com.
from Trickbd.com https://ift.tt/3AimXxK
via IFTTT