কাইওস সমৃদ্ধ মুঠো ফোনগুলোর সুবিধা ও মূল্য সংক্রান্ত
আবারও সবাইকে আমি স্বাগতম জানাচ্ছি আজকের আটিকেলে । গতকাল আমি কাইওস সমৃদ্ধ মোবাইলগুলো সাধারণভাবে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম । আটিকেলটিতে কিছু ভুল ছিল এবং কিছু মিসটেকও ছিল । কমেন্ট করে অনেকেই সেগুলো ধরিয়ে দিয়েছিলেন আজ সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি । তো চলুন সে বিষয়গুলো সম্পকে জেনে আসি ।
গত দিনের পোস্ট মিসটেক তথা ভুলগুলো নিচে তুলে ধরা হলো ::
১) গত দিনের পোস্টে আমি উল্লেখ করেছিলাম যে শুধুমাত্র Geophone কোম্পানিটি কাইওস সমৃদ্ধ মোবাইলগুলো বাজারকৃত করেছে । কিন্তু Symphony মোবাইল কোম্পানিটিও একটি কাইওস ফোন বাজারকৃত করেছে । আর মোবাইলটির মডেল হলো “Symphony pd1” । তাছাড়া নোকিয়াও কাইওস সমৃদ্ধ কিছু মোবাইল ফোন বাজারজাতকরণ করেছে । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : Nokia2760 ।
২) কাইওস ফোনগুলোর Ram হচ্ছে ৫১২ এমবি এবং Rom হচ্ছে ৪জিবি । আর একটি বিশেষ দিক হচ্ছে ফোনগুলোতে প্রায় ১হাজার এমবির মতো স্টোরেজ সুবিধা থাকছে ।
৩) কাইওস ফোনগুলোর মূল্য সংক্রান্ত ::
কাইওস মুঠো ফোনগুলোর মূল্য প্রায় ৩হাজার টাকার কাছাকাছি । সিম্ফনি পিডি১ ফোনটির দাম ২৯৯০ টাকা । এখন মোবাইলটি স্টক আছে । এখন এর চাহিদাও অনেক বেশি ।
Geophone কতৃক প্রকাশিত কাইওস ফোনগুলোর মধ্যে টি১৯ এর দাম ৩৪৯০ টাকা । টি১৫ এর দাম ৩২৪০ টাকা এবং টি১৯আই ফোনটির মূল্য ৩৬০০ টাকা । কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে অফিশিয়ালি ফোনগুলো স্টক আউট । কিন্তু দেশের কিছু দোকানগুলো যারা মোবাইলগুলো একসাথে অনেক কিনে রেখেছিল তারা সাভিস দিয়ে যাচ্ছে । অফিশিয়ালভাবে অডার করা যাচ্ছে না । ফোনগুলোর মূল্য প্রায় ২৩০০ তে চলে এসেছিল সবশেষ সময়ে ।
কাইওস মোবাইলগুলোর সুবিধাসমূহ ::
১) আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ অ্যান্ড্রয়েড ফোনের বিষয়ে একেবারেই অজ্ঞ । তারা বাটন মোবাইল ছাড়া অন্যান্য ফোনগুলো ব্যবহার করতে জানে না । আর কাইওস ফোনগুলি বাটন মোবাইল হওয়া সত্ত্বেও অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সাধারণ সিস্টেমগুলো চমকপ্রদভাবে উপস্থাপন করেছে । তাই যে কেউ সহজে ব্যবহার করতে পারছে । এই দিক থেকে খুবই উপকারি ।
২) কাইওস ফোনগুলো ৪জি ইন্টারনেট সক্ষমযুক্ত হওয়ায় দ্রুত ব্রাউজিং করা যায় ।
৩) ওয়াইফাই ও হট্স্পট সুবিধা রয়েছে কাইওস ফোনগুলোতে । ওয়াইফাই ব্যবহারকারীরা অতিরিক্ত সুবিধা ভোগ করতে পারছে ভিডিও এবং লাইভ স্ট্রিমিং দেখার ক্ষেত্রে ।
৪। কাইওস ফোনগুলোতে টিভি দেখা এবং ফেসবুক ও ইউটিউবে ভিডিও, লাইভ স্ট্রিমিং দেখা সহজলভ্য বলে এই মোবাইলগুলোকে বেছে নিচ্ছে অনেকে ।
৫। গুগল অ্যাসিসট্যান্ট থাকায় মুখে বলে সাচ করা যাচ্ছে যা জনসাধারণের কাছে আকষণীয় করে তুলেছে । তাছাড়া গুগল ম্যাপের সুবিধার কথা উল্লেখযোগ্য ।
৬। হট্সঅ্যাপে ভয়েস ও অডিও কল দেওয়ার কথা তরুণদেরকে বিষ্মিত করেছে ।
৭। কাইওস ফোনের একটি বিশেষ দিক হচ্ছে প্রয়োজনীয় ই-বুক রিডার অ্যাপ এবং ছবি ও ভিডিও এডিট করার অ্যাপ পাওয়া যায় ।
মূলত এসকল কারণেই কাইওস ফোন বাটন মোবাইল ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে । পরবতী আটিকেলে কাইওস ফোনগুলোর অসুবিধাগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে ।
The post কাইওস মোবাইলগুলোর সুবিধা ও বাজার মূল্য সংক্রান্ত তথ্য appeared first on Trickbd.com.
from Trickbd.com https://ift.tt/cAlhdHM
via IFTTT