ইসলামী রাজনীতি মন্দের ভালো স্বরূপ উন্মোচন!
[১]
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মুসলিম বিশ্বের ইসলামী রাজনৈতিক দর্শনে আমূল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যদিও এই পরিবর্তন-পরিবর্ধন দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে- বাস্তবে তা আসলে আশাব্যঞ্জক কোন ঘটনা নয়, বরং তা আরো হতাশা আর নিরাশার দোলাচলে মুসলিম উম্মাহকে উদ্বিগ্ন করে দিচ্ছে। সারা পৃথিবী মুসলমানদের বিরুদ্ধে সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছে এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা শক্তি নিয়ে। ইসলাম ও মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, নীতি নৈতিকতা, শিক্ষা-নীতি, সামাজিক, পারিবারিক ও সাংস্কৃতিক নতুনত্ব ও আভিজাত্য ইসলামী আদর্শের বিপরীতে তারা এক নতুন জাহিলিয়াত মানুষের সামনে উপস্থাপন করছে। তাদের এই জাঁকজমকপূর্ণ আধুনিকতা ও রুচিশীলতাকে মানুষ খুব সহজেই ধরে নিচ্ছে প্রগতি, অগ্রগতি। বাস্তবিক অর্থে যা আসলে নিতান্তই নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনা। এমন নয় যে এই বিষয়গুলো আলেম সমাজ ও সচেতন ওলামায়ে কেরামের দৃষ্টিতে উপেক্ষিত, বরং বাস্তবতা হচ্ছে ওলামায়ে কেরামও এই অপারগতাকে অস্বীকার করতে পারছেন না। তারা সবসময়ই হকের পথে বাতিলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছেন এবং আগামীতেও তারা সবরকম ফেতনার বিরুদ্ধে নিজেদের উৎসর্গ করতে সদা প্রস্তুত।
তবে এটাও সত্য যে, যখনই ওলামায়ে কেরাম বাতিল শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই অবতীর্ণ হয়েছেন, তখনই ইসলাম ও মুসলিম সমাজের সর্ব সাধারণের উপরও জুলুম নির্যাতন হয়েছে। আলেমরা যেমন বাস্তুচ্যুত হয়েছেন তেমনি হয়েছেন সমাজের সাধারণ মানুষ। ইসলামের জন্য জিহাদের পরিপূর্ণ স্ফুলিঙ্গ নেতৃত্ব একসময় ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্বেই হতো। আমাদেরকে এই ইতিহাসও ভুলে গেলে চলবে না যে, ব্রিটিশ শাসনামলে ইংরেজদের বিরুদ্ধে আলেমদের প্রতিরোধ আন্দোলনে হাজার ওলামায়ে কেরামের লাশ শের শাহ শূরীর গ্র্যান্ড ট্র্যাংক রোডের প্রত্যেকটা গাছে ঝুলন্ত ছিলো। এই তিক্ত ইতিহাস আজো আমাদের চোখের সামনে উদ্ভাসিত। যদি এই অঞ্চলে ওলামায়ে কেরাম ইসলামের জন্য নিজেদের প্রাণকে ভবিষ্যত মুসলমানদের জন্য নজরানা হিসেবে পেশ না করতেন, তাহলে আজকে আমরা হয়তো এই ভূখণ্ডে ইসলামের ঘ্রাণও পেতাম না। এটাই ছিলো দেওবন্দের চেতনা, এটাই ছিলো এই অঞ্চলের ওলামাদের ত্যাগ ও আত্মত্যাগের উপকথা।
মানবতাকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে পথ প্রদর্শনের কাজ এই অঞ্চলের ওলামায়ে কেরাম আত্মশুদ্ধিমূলক কর্যক্রমের মাধ্যমে শুরু করে। এই বিষয়ে উপমহাদেশের ওলামায়ে কেরামের রয়েছে সুবিন্যস্ত ও সুসজ্জিত এক লম্বা ইতিহাস। তারা এই অঞ্চল মানুষের সাথে সম্পর্ক করেছিলো ঈমানের দাওয়াত ও ইসলামের মহান আদর্শকে মানুষের সামনে তুলে ধরার মধ্যে দিয়ে। যখন মানুষ ক্রমে ক্রমে একত্ববাদের উপর পূর্ণ বিশ্বাসী এবং হকের পথে চলার জন্য পরিপূর্ণ প্রস্তুত, তখন তারা ঈমানের দৃঢ়তা ও মুসলিম ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ইসলামের জন্য সমগ্র বাতিল ফেতনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজেদের উৎসর্গ করতেন। আত্মশুদ্ধিমূলক কর্মের মাধ্যমে তারা জনগনের সাথে এতটাই সম্পর্কযুক্ত ছিলেন যে, রাজ দরবারে মানুষের অভাব, দুঃখ-কষ্ট দূর না হলেও আল্লাহ ওলীদের খানকায় তাদের যাবতীয় প্রয়োজন পূর্ণ হতো। পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণের যেই রাজাদের কর দিতে মানুষকে, আর সেই রাজারা কর দিতেন সেই ফকির দরবেশদের কাছে!
কিন্তু তারা কখনো বাতিলের সাথে আপোষের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেননি এবং না করেছিলো তাদের সান্নিধ্যে আসা কোন মহা পুরুষ।
[২]
কিন্তু এটাও সত্য যে ধীরে ধীরে ওলামায়ে কেরামের সাথে সাধারণ মানুষের দূরত্ব বেড়েই চলেছে ( এক বিশাল লম্বা সময়ের ব্যবধানে)। সাধারণ মানুষ যেমন ইসলামের মৌলিক আদর্শ-মূল্যবোধ ও জ্ঞানের ব্যাপারে সন্দিহান, তেমনি ওলামায়ে কেরামের মাঝেও দেখা দিয়েছে বাতিলের সাথে আপোষের আকাঙ্ক্ষা। ওলামায়ে কেরাম সাথে জনগণের দূরত্বের কারণে তারা রাজনৈতিক ময়দানে একা, এমনকি সাধারণ মানুষ; যারা একসময় ইসলামের জন্য সবসময়ই ওলামাদের সঙ্গে নিজেদের উৎসর্গ করতো, আজকে তারাও আলেমদের মনে করছে ভাবছে মূর্খ, যুগ ও কালের ভাষা বুঝতে অক্ষম, সেকেলে, অন্ধকার যুগের মানুষ! ফলে রাজনৈতিক পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করে অনেক আলেম সতস্ফুর্তভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। আর এই রাজনীতি ছিলো আব্রাহাম লিংকনের গণতান্ত্রিক রাজনীতি। যেখানে ভালো মন্দ নির্ধারিত হয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। স্বাভাবিকভাবেই আলেম সমাজ কর্দমাক্ত পথে নিজেদের তেমন কোন অবস্থান তৈরি করতে পারেনি।
তবে এর মানে এই নয় যে, কুফফার শক্তি তারা ইসলামের বিরুদ্ধে চুপচাপ বসে থাকবে। বরং তারাও সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করে। আগেও বলেছিলাম যে সময়ের সাথে সাথে আলেম শ্রেণীর মাঝেও বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্বের মানসিকতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা পরিস্থিতির শিকার হয়ে বাতিলের সাথে আপোষ করতেও দ্বিধা করেনি। ফলে ইসলামী রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে, যাকে বলা হয় ‘মন্দের ভালো’!
মন্দের ভালো- আসলে কি এটা আগে আমাদের ভালোকরে জানা ও বুঝা উচিত। বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সংকটে ইসলামী বিধি-বিধান, সামাজিকতা ও নৈতিকতা বিরুদ্ধ যেই সশস্ত্র ও নিরব যুদ্ধ চলছে, এরই ধারাবাহিকতায় ইসলামের পক্ষে ডিফেন্সিভ অবস্থান তৈরির জন্য ইসলামের পক্ষে কিছু রাজনৈতিক দল লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে- যারা তুলনামূলক ইসলামী ভাবধারার, তাদেরকে বলা হয়ে থাকে মন্দের ভালো। অর্থাৎ পরিপূর্ণ রূপে সেক্যুলার হয়ে যাওয়ার চেয়ে অল্প কিছু ইসলামী চেতনায় উদ্বুদ্ধ অল্প বা বিশাল সংখ্যক মানুষের ইসলামের পক্ষে ধারাবাহিক রাজনৈতিক লড়াই করছে তাদেরকে বলা হয় তুলনামূলক ভালো- অর্থাৎ ‘মন্দের ভালো!’ এই মন্দের ভালো হওয়ার বাস্তবতা হচ্ছে- বিদ্যমান বৈশ্বিক ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিতে এখানে সরাসরি ইসলাম কায়েম সম্ভব নয়, এবং ইসলামপন্থী কারো কাছেই এমন সামর্থ্য নেই যে, তারা এই লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে পারবে। কারণ সরাসরি ইসলামের পথে অগ্রসর হলে জেল-জুলুমের শিকার হতে হবে, ইলমের খেদমত থেকে নিজেদের বঞ্চিত করতে হবে। এজন্য তারা এমন একটা পথ বেছে নেয়, যেটাতে ইসলাম বিরোধী শক্তিও খুশি থাকে এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠাও না হতে পারে। আর এই পথটাই হচ্ছে গণতান্ত্রিক পথ। ( আসলে সেক্যুলার )
একটি কথা পরিষ্কার করে রাখি, মন্দের ভালো হওয়া মানে এই নয় যে এরা ভালো, বরং এরাও ইসলামের জন্য মন্দ। কিন্তু মন্দের যেই স্তর রয়েছে, সেই স্তর অনুযায়ী তুলানামূলক ভালো। আরো স্পষ্ট করে বললে, ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো ও মন্দের যেই সীমারেখা আছে , সেই সীমারেখার নিকটবর্তী খারাপ অবস্থানে যারা, তারাই হচ্ছে মন্দের ভালো।
কিন্তু সমস্যা হয়েছে আজকাল মন্দের ভালো হওয়াটা আমাদের জন্য এক প্রকার ফেতনা হয়ে দেখা দিয়েছে। তারা ইসলামের মৌলিক বিষয়ে এমনভাবে আপোষ করে নিচ্ছে যেন মনে হয় ইসলাম এই বিষয়ে সতস্ফুর্ত সীমাহীন শিথিলতা অবলম্বন করেছে। মন্দের ভালো হওয়ার নামে ইসলামের মৌলিক আদর্শের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক কাঠামোকে সমাজের মানুষের কাছে নর্মালাইজ করা হচ্ছে। যারা প্রশ্ন করে বিদ্যমান পরিস্থিতি ইসলাম প্রতিষ্ঠার অন্য কোন পদ্ধতি কি আছে? আসলে তাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়াই উচিত না, কারণ তারা শুরুর আগে শেষ করে দিয়েছে এবং এরাই তারা যারা পরাজিত মানসিকতার সাথে বসে আছে মুনিফিকি আচরণ নিয়ে। পরিস্থিতির কারণেই তো জি{হা} দ হয়, পরিস্থিতির বিরুদ্ধেই জি{ হা} দ হয়, যদি পরিস্থিতিই না থাকে তাহলে জি{হা} দ ফরজ হওয়ার তো কোন প্রশ্নই আসে না। বাস্তবতা হচ্ছে, পরিস্থিতির নামে আজকাল মানুষ নিজেদের স্থবিরতা, অলসতা, অকর্মণ্যতা ঢাকতে এবং বিলাসবহুল জীবন ত্যাগের কষ্টটাকে তারা মানসিকভাবে মেনে নিতে পারছে না।
এজন্যই তারা আজকাল এমন এক অবস্থায় নিজেদের নিয়ে গেছে, যা দিয়ে এবং যাদের দিয়ে ইসলাম কোন দিনই প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব তো নয়-ই, বরং এদের দিয়ে ইসলামের আরো বহুমুখী ক্ষতিগ্রস্ত হাওয়ার সম্ভাবনাই অনেক বেশি। একসময় ওলামায়ে কেরামের রাজনীতি করেছিলেন পরীক্ষামূলক ‘মন্দের ভালো’ হিসেবে, কিন্তু কোন লাভ হয়নি, দিনকে দিন পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে গিয়েছে এই পথে চলতে গিয়ে। পৃথিবীর কোথাও আজ পর্যন্ত এই পথে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, পারবেও না। এই পথে আরো অগ্রসর হওয়ার মানে একই গর্তে বারবার পড়া এবং বারংবার পড়ার ইচ্ছা পোষণ করা।
এই শ্রেণীর আরেকদল রয়েছে যারা ইসলামের জন্য মূলাধারার কথিত রাজনীতির সাথে মিশে গিয়ে রাজনীতি করে। যারা সিস্টেমের সাথে যুক্ত হয়ে সিস্টেমকে পরিবর্তন করতে চায়, এমন মানসিকতা যারা লালন করে, তাদের চেয়ে বড় নীতিভ্রষ্ট মানুষ আর নেই। আমার জীবনে আজ পর্যন্ত কাউকে দেখিনি, যারা সিস্টেমের ভেতর গিয়ে সিস্টেম কোন রকম পরিবর্তন করতে পেরেছে অথবা ইতিহাসেও এমন কোন দৃষ্টান্ত আছে কি না আমার জানা নেই। থাকলেও হয়তো খুবই বিরল ঘটনা। কেননা কোন দেশের রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক,সাংস্কৃতিক সবখানেই আমূল পরিবর্তন চাইলে কোনদিনই সেটা সিস্টেমের অংশ হয়ে করা সম্ভব নয়। কারণ আপনার সেই সিস্টেমের অংশ হওয়া মানে আপনি তাদের গোলাম হয়ে যাওয়া। আর চিন্তার এই কাঠামোটা আসলে বাস্তবতারও বিরোধী। সিস্টেমের ভেতরে গিয়ে ইসলামের পক্ষে ডিফেন্সিভ তথ্য সরবরাহ করা যায়, গোয়েন্দাগিরি করা যায়, কিন্তু কোনদিন সিস্টেম পরিবর্তন করা যায় না। এই জন্য হয় বিপ্লব করতে হয়, না হয় করতে হয় সশস্ত্র সংগ্রাম। এই দুইয়ের বাইরে কোনদিনই সমাজ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সম্ভব নয়।
[৩]
এখন আসুন বাস্তবতায়। এখন যারা ইসলামের নামে রাজনীতি করছেন এই আশায় যে, তারা ইসলামের বিরাট উপকার করেছেন, তাদের বলে রাখা উচিত তাদের তথাকথিত রাজনীতি জাতে ওঠার প্রচেষ্টা বলেন আর ইসলামের বাহুতে শক্তি বৃদ্ধির নগন্য প্রয়াস,(!) ইসলামের চরম মূহূর্তে এরা আসলে কিছুই করতে পারবে না। একই বাস্তবতা আমরা লক্ষ্য করেছি পাকিস্তানে ঐতিহাসিক লাল মসজিদ ট্রাজেডির সময়। জেনারেল মোশাররফের সময় উল্লেখযোগ্য পাকিস্তানি ওলামায়ে কেরাম সংসদে ছিলেন, তাদের প্রত্যেকের সংসদীয় অবস্থান ছিলো বাংলাদেশের অতি অবাস্তব স্বপ্নের চেয়েও অনেক সুদৃঢ়। কিন্তু যখন একে একে সাতটি মসজিদ গুড়িয়ে দেয়া হয় সামাজিক উন্নয়নের নামে এবং ধীরে ধীরে দানা বাঁধতে শুরু ইসলামের মৌলিক আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য, তখন যখন জামিয়া হাফসার শিক্ষার্থীদের ওপর কারবালার ট্রেজেডির পুনরাবৃত্তি ঘটানো হয়, তখনো ইসলামের নামে রাজনীতি করা এই এলিট ‘গোলামরা’ চুপটি মেরে বসে ছিলো। শায়খ গাজি আবদুর রশীদ শহিদ রহ. ও মাওলানা আব্দুল আজিজ রহ. এর পাশে কাউকে পাওয়া যায়নি। অথচ ওই এলিট শ্রেণীরা এগিয়ে আসলে চিত্র ভিন্ন রকম হতে পারতো।
সুতরাং আমাদের পক্ষ থেকে সকলকে উন্মুক্ত আবদেন- যারা ইসলামের ‘নামে’ রাজনীতি করছেন, আল্লাহর জন্য এই ধোঁকাবাজি বন্ধ করুন। যদি সত্যি আপনারা ইসলামের প্রতিষ্ঠা চান তাহলে দাওয়াত, ঈমান-আমল, তাওহিদ-একত্ববাদ ও ইসলামের মৌলিক আদর্শ শিক্ষা দেয়ার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করুন। তাহলে হয়তো আসন্ন বিপদসংকুল পরিবেশে পূর্বেকার মুজাদ্দিদের মতো আপনারাও জনগনকে পাশে পাবেন ইসলাম ও মাতৃভূমির সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায়। যদি এই অহেতুক শয়তানী রাজনীতি ছেড়ে দাওয়াতি কাজে মেহনত করেন, তাহলে ইসলামী এই অঞ্চলের আরো মজবুত হবে। কারণ দাওয়াত ও জিহাদই একমাত্র ইসলামের পথ, বাকি সব শয়তানের তাঁবেদারির উন্মুক্ত শীতল পথ। কোন এক কবি বলেছিলেন- “সমান্য সময়ের উদাসীনতা,শত বছরের ব্যবধানে হারিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট!”
লেখক: হাসান মুহাম্মাদ আরিফ
লেখক,অনলাইন এক্টিভিস্ট।
সব সময় ইসলামিক পোস্ট পেতে বিজিট করুন ইসলামিক সাইট
www.OurislamBD.Com
The post ইসলামী রাজনীতি মন্দের ভালো স্বরূপ উন্মোচন! appeared first on Trickbd.com.
from Trickbd.com https://ift.tt/sjeTriX
via IFTTT