Fast Charging নয কছ পরযজনয কথ য আপনর জন দরকর

আসসালামু আলাইকুম !


Trickbd.com এর সকল সদস্যদের স্বাগতম ! ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন !



আমি সোহাগ আবারো Trickbd.com এ হাজির হলাম আপনাদের মাঝে অন্য একটি পোষ্টে, আজকের পোস্ট শুরু করা যাক !


•••

•••


আমরা সবাই ফাস্ট চার্জিং, ফাস্ট চার্জার এর কথা জানি। এই ফাস্ট চার্জিং নিয়েই কিছু কথা বলবো এসব যদি আপনার অজানা থাকে তাহলে সেটাও আপনি এই পোস্টে জানতে পারবেন। ফাস্ট চার্জিং নিয়ে যাদের একটু অন্যরকম চিন্তা ভাবনা আছে তারাও হয়তো এই বিষয়ে কিছু না কিছু জানতে পারবেন বলে আমি মনে করি।

ফাস্ট চার্জিং কি?

ফাস্ট চার্জিং আসলে একটা নাম মাত্র। যখন আপনার ফোনে চার্জ হয় এবং সেটার ভেতরে যে পাওয়ার যায়, পাওয়ার বলতে ভোল্ট এবং এম্পিয়ার। উদাহরণ হিসেবে, আপনি একটি পাইপের মাধ্যমে পানি দিচ্ছেন। পাইপে যতটা চাপ থাকবে সেটা হলো ভোল্টেজ, কত জোরে পানি আসা/যাওয়া করছে সেটা হলো এম্পিয়ার।

এম্পিয়ার আর ভোল্টেজ কে একসাথে করলে বের হয় পাওয়ার, মানে ওয়াট্টেজ তো এম্পিয়ার X ভোল্টেজ = ওয়াট্টেজ
আর এই ওয়াট্টেজ থাকে আপনার ফোনের চার্জারে।

এখন পর্যন্ত যতগুলো ফোন ছিলো যেগুলো তে ফাস্ট চার্জিং হয়না সেগুলো ৫ ওয়াটস পর্যন্ত চার্জ হতো ধীরে ধীরে। কিন্তু গত ২-৩ বছর ধরে মার্কেট বিভিন্ন কোম্পানি থেকে ফাস্ট চার্জিং, ফাস্ট চার্জার চলে এসেছে।

এরকম বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট চার্জিং বা কুইক চার্জিং চলে এসেছে। কিন্তু তবুও ড্যাশ চার্জিং সবচেয়ে বেশি ফাস্ট চার্জিং করে। ফাস্ট করে কিভাবে ? আগেকার ফোনে যেভাবে চার্জ হতো সেটা মূলত ৫ ওয়াটস পর্যন্ত। কিন্তু এখনাকার যে চার্জার আছে সেগুলো ২০ ওয়াটস এর বেশি পর্যন্ত চার্জ করে।

কিন্তু যদি আপনি ভাবেন যে, আপনি যদি এই সব ফাস্ট চার্জার দিয়ে আপনার পুরোনো ফোনকে চার্জ করলে সেটাতে ফাস্ট চার্জিং হবে। এরকমটা হবে না। যেসব পুরোনো ফোনে ফাস্ট চার্জিং/কুইক চার্জিং সাপোর্ট করে না- ব্যাটারিতে যখন চার্জ হয়, সেটাতে একটা কন্ট্রোলার চিপ থাকে। আর এটা কতটা কারেন্ট আসলো সেটা নিয়ন্ত্রণ করে।

মানে আপনার ফোনে যদি ৫ ওয়াটস পর্যন্ত চার্জিং সাপোর্ট করে তাহলে ততটাই হবে। আপনি যত‌ই সেটাতে ফাস্ট চার্জিং করার চেষ্টা করেন না কেন ৫ ওয়াটস পর্যন্ত‌ই চার্জ হবে। আপনার ৫ ওয়াটের চার্জারের ফোনে যদি ২০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে তাহলে আপনার ফোনকে ৪ গুণ তাড়াতাড়ি চার্জ করতে পারে।

যদি আপনি দেখতে চান যে আপনার ফোনে ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে কিনা তাহলে আপনার ফোনের চার্জারের ওয়াটস এবং এম্পিয়ারস দেখতে হবে।
যেমন, আমার ফোনের চার্জারের OUTPUT হলো 5.0V = 1.55A যার মানে 5.0X1.55=7.75 তো আমার ফোনের চার্জার ৭ ওয়াটের।

যদি এই আউটপুটের সিস্টেম না থাকে তাহলে আপনি ফোনে চার্জের মাধ্যমে যত পাওয়ার দিবেন তত‌ই পাওয়ার ব্যাটারি নিবে কিন্তু ব্যাটারি এত পরিমাণে গরম হবে যে ব্যাটারি ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। চার্জারের ওয়াটস সিস্টেমের মাধ্যমে যখন ব্যাটারিকে ধীরে ধীরে চার্জ করা হয় তখন‌ই ব্যাটারিতে ঠিকভাবে চার্জ হয়।

যদি আপনি এর থেকে বেশি পরিমাণে পাওয়ার দিতে চান তাহলে তো অবশ্যই সেটা নষ্ট হবেই। ফাস্ট চার্জিং এর একটা অসুবিধা আছে। যদি ফাস্ট চার্জিং হয় তো ফোন গরম হয়ে যায়। কেননা অনেক বেশি মাত্রায় আপনার ফোনে চার্জ হয়। তো এটা একটা অসুবিধা।

যদি আপনার ফোনে ধীরে ধীরে চার্জ হয় তাহলে কোনো সমস্যা নেই, ব্যাটারির ক্ষতি খুব কম হবে। যখন ফাস্ট চার্জিং হয় তখন ব্যাটারির ওপর চাপ পড়ে যাতে ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে। যেমনটা আগেই বলেছি যে, যদি আপনি ফাস্ট চার্জার দিয়ে নরমাল ফোন কে চার্জ করেন তাহলে সেটাতে ফাস্ট চার্জিং হবে না। কারণ এটা ফোনের ওপর নির্ভর করে যে কতটা পরিমাণে পাওয়ার টানতে পারবে।

আগামীতে যে সমস্ত ফোন আসবে তার বেশিরভাগ ফোনগুলোতেই ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করবে।

আজকাল প্রায় বেশিরভাগ কোম্পানি‌ই তাদের ফোনগুলোতে ফাস্ট চার্জিং সিষ্টেম দিচ্ছে।

ফাস্ট চার্জিং/কুইক চার্জিং এর বিষয়ে এইসব‌ই বলার ছিলো। যা যা বলা হয়েছে এতে আশা করছি ফাস্ট চার্জিং নিয়ে যা যা জানার আপনার জানা হয়ে গেছে।


°°°
এই পোষ্ট এতটুকুই ! এতক্ষণ সময় নিয়ে Trickbd.com এ পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবাই, আল্লাহ হাফেজ। 🙂


The post Fast Charging নিয়ে কিছু প্রয়োজনীয় কথা, যা আপনার জানা দরকার। appeared first on Trickbd.com.



from Trickbd.com https://ift.tt/Ktz0moA
via IFTTT

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট