এবার করোনার যে প্রজাতিটি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে তা হল JN.1। এটি ওমিক্রন ধরনের নতুন উপ-ধরন।
ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশেই ইতিমধ্যে JN.1 ধরা পড়েছে, চীনে ইতিমধ্যে অন্তত সাতজনের শরীরে মিলেছে ভাইরাসের এই নতুন ধরণ। এছাড়া সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার মতো দেশে দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ। ওইসব দেশে আবারও ফিরে এসেছে করোনার বিধিনিষেধ।
গতকাল বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা করেছে, করোনাভাইরাসের সাবভ্যারিয়েন্ট JN.1 বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। গত নভেম্বরে বিশ্বব্যাপী এতে আক্রান্ত ছিল প্রায় ৩ শতাংশ যা বর্তমানে ছাড়িয়েছে ২৭ দশমিক ১ শতাংশে।
গত মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশ্বের ৪১টি দেশে ইতিমধ্যে JN 1 শনাক্ত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে JN.1 সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকায় এই উপ-ধরনকে আলাদাভাবে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ (ভিওআই) হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে তারা।
ধারণা করা হচ্ছে, ওমিক্রনের আরেক উপধরন BA.2.86 এর তুলনায় JN.1 -এর স্পাইক প্রোটিনের অতিরিক্ত পরিবর্তনের কারণে সব অঞ্চলে এটি দ্রুত ছড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উপধরনটি জনস্বাস্থ্যের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এবং এতে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেক মৃদু। তবে এটি অতি সংক্রামক কারণ পিরোলার মিউটেশন বেশি হওয়ায় তার সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ সৌম্য স্বামীনাথনও সর্দি-কাশি নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, অতি সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশিই আসলে করোনা হতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার ভারতের কেরালা রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় এ সংখ্যা ছিল ১১৫। ১ থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মারা গেছেন ১০ জন।
প্রতিবেশী দেশে করোনার আক্রমনে স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ। এমন অবস্থা আমাদের জন্য হতে পারে বিপদজনক।
উপসর্গঃ সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই উপসর্গ করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের। জ্বর, সর্দি-কাশি, গা-হাত পা ব্যাথা, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গই দেখা গিয়েছে আক্রান্তদের মধ্য়ে। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এখনও হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ রোগী ভর্তি হওয়ার সংখ্যা কম। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আপাতত বদ্ধ জায়গায় মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন।
অন্যদিকে ডব্লিউএইচও বলছে, টিকার কারণে যে ইমিউনিটি তৈরি হয়, তা দিয়ে JN.1 থেকে কতটুকু সুরক্ষা মিলবে, সে ব্যাপারে খুব বেশি প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে যাঁদের ইতিমধ্যেই একবার কোভিড সংক্রমণ হয়ে গিয়েছে বা ভ্যাকসিন নেওয়া আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে মানব শরীর থেকে স্বাভাবিকভাবে নিঃসৃত সিরাম-ই পিরোলা ও সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1-কে প্রতিহত করবে।
Sources: Times of India, BBC, CNA, ZeeNews, Unicef, ShareBazarNews, TV9Bangla, JagoNews
আজকের পোস্ট এই পর্যন্তই, পোস্টের কোন অংশে ভুলক্রটি হলে সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
এই পোস্ট সহ যেকোনো প্রয়োজনে আমার সাথে যোগাযোগ করতেঃ
Facebook – Instagram – My Telegram Channel
সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন আর নিয়মিতো ট্রিকবিডির সাথেই থাকুন এই প্রত্যাশায় বিদায় নিচ্ছি ,ধন্যবাদ।
আল্লাহ হাফেজ
The post করোনা ভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় নতুন করে দানা বেঁধেছে আতঙ্ক! appeared first on Trickbd.com.
from Trickbd.com https://ift.tt/6RDvkoV
via IFTTT