আসসালামুয়ালাইকুম ! TrickBD তে সবাইকে স্বাগতম। কোনো ভুল হলে দয়া করে ক্ষমা করবেন। বেশি কথা না বলে শুরু করছি।
আমি সোহাগ আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে অন্য একটি পোষ্টে, আজকের পোস্ট শুরু করা যাক !
আজকের পোস্টে আমরা জানবো নেটওয়ার্ক কি ? নেটওয়ার্কের কতো গুলো টাইপ রয়েছে ? এবং এগুলোর মধ্যে কি কি তফাৎ রয়েছে ?
যদি আপনি একজন কম্পিউটার স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই নেটওয়ার্কের বিষয়ে পড়েছেন, যদি আপনি একজন কম্পিউটার স্টুডেন্ট নাও হন তাহলেও কোনো সমস্যা নেই। আপনি এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ুন আশা করছি আপনি বুঝতে পারবেন নেটওয়ার্ক কি ? নেটওয়ার্কের কতো গুলো টাইপ রয়েছে ? এবং এগুলোর মধ্যে কি কি তফাৎ রয়েছে ?
সবার প্রথমে জেনে নেয়া যাক যে এই নেটওয়ার্ক আসলে কি ? তো এখানে আমি আপনাকে সিম্পল এবং সহজ ভাষায় যদি বলি তাহলে, নেটওয়ার্ক সিম্পলি দুই অথবা দুইয়ের অধিক ডিভাইস যখন একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে তখন সেটাকে সিম্পল নেটওয়ার্ক বলা হয়।
কেননা এই যে ডিভাইসগুলো একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে সেটা নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই। এখানে যেকোনো ডিভাইস হতে পারে। মোবাইল হতে পারে, কম্পিউটার হতে পারে, অথবা কোনো ল্যাপটপ হতে পারে। এমনিতেই নেটওয়ার্কের বেশ কিছু টাইপ রয়েছে, কিন্তু বেসিক্যালি নেটওয়ার্কের ৩টি মেইন টাইপ হয়।
Network Types
★ LAN – Local Area Network★ MAN – Metropolitan Area Network
★ WAN – Wide Area Network
সবার প্রথমে আসে LAN – Local Area Network এই নেটওয়ার্ক এর ব্যবহার আপনি –
• নিজের ঘরে করতে পারবেন,• কোনো বিল্ডিং এ ব্যবহার করতে পারবেন,
• আপনার যদি কোনো অফিস থাকে তাহলে আপনি সেই অফিসে করতে পারবেন,
• শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ) এ করতে পারবেন।
এর বাইরে আপনি এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন না।
এর পরে যে MAN – Metropolitan Area Network নেটওয়ার্ক আসে এটা আপনি মূলত Multiple Building’s গুলো একে অপরের সাথে সংযুক্ত করার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। মনে করুন, একটি বিল্ডিং এ নেটওয়ার্ক আসছে আর আপনি ঐ নেটওয়ার্ক কে মাল্টিপল বিল্ডিং এ পৌঁছাতে চান তাহলে আপনি এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সহজেই সেটা করতে পারবেন।
For Example : আপনি যে অফিসে রয়েছেন এবং তার থেকে বেশ কিছু দুরে অন্য অফিস রয়েছে এবং সেখানে আপনার কিছু ব্রান্সেস আছে। আর যদি সেই অফিসের মেইন অফিস আছে সেখানে বেশ কিছু অফিস কে কানেক্ট করতে চান তাহলে আপনি এটা MAN Network দিয়ে করতে পারবেন।
তো এখানে যদি আপনি LAN Network দিয়ে কানেক্ট করতে চান বা কানেক্ট করার চেষ্টা করেন তাহলে আপনি সেটা করতে পারবেন না। কারণ LAN Network এর রেঞ্জ খুব কম হয়, As compare to MAN Network
এর পরে যে নেটওয়ার্ক আসে WAN – Wide Area Network এই নেটওয়ার্ক এর Basically Use আপনি একটি শহর অথবা একটি দেশ থেকে আরেকটি দেশের নেটওয়ার্ক কে জুড়তে ব্যবহার করতে পারবেন। এটার সোজা এবং সহজ মানে হলো ইন্টারনেট
আপনি ইন্টারনেট কে দুনিয়ার যেকোনো প্রান্তে সহজেই অ্যাক্সেস করতে পারবেন। তো এটা ভালো একটা উদাহরণ হতে পারে WAN Network এর।
এখানে এখনো আপনার মনে বেশ কিছু প্রশ্ন আসতে পারে। যে LAN – MAN – WAN Network কি ? তাহলে আসুন ছোট্ট একটি উদাহরণ দিয়ে এগুলোর তফাৎ জেনে নেয়া যাক।
LAN – MAN – WAN
Use
LAN Network আপনি একটি ঘর, বিল্ডিং, অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যন্তই ব্যবহার করতে পারবেন।
MAN Network আপনি মাল্টিপল বিল্ডিং, অথবা একটি শহর পর্যন্ত ব্যবহার করতেন পারবেন।
আর এখানেই WAN Network আপনি Multiple City অথবা Multiple Country তে ব্যবহার করতে পারবেন।
Rang
LAN Network এর রেঞ্জ ১০ মিটার থেকে ১০০০ মিটার পর্যন্ত।
MAN Network এর রেঞ্জ ৫ কিলোমিটার থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
WAN Network এর রেঞ্জ ১ লাখ কিলোমিটার পর্যন্ত।
Example
LAN Network এর উদাহরণ হিসেবে Ethernet, Wi-Fi যা আপনি আপনার ঘরে ব্যবহার করেন।
MAN Network এর উদাহরণ হিসেবে Cable TV Network যা আপনি ঘরে দেখেন।
WAN Network এর উদাহরণ হিসেবে Internet যেটা আপনি যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন।
আশা করছি এবার আপনি বুঝতে পেরেছেন এগুলোর মানে কি।
আরও পড়ুনঃ কিভাবে প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করবেন জানুন — ২০২২
আরও পড়ুনঃ Grameenphone Internet Offer
এই পোষ্ট এতটুকুই ! এতক্ষণ সময় নিয়ে পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবাই, আল্লাহ হাফেজ।
কোনো সমস্যা অথবা কোনো প্রয়োজন হলে আমার Facebook I’d
The post LAN – MAN – WAN Network এর মানে কি ? এগুলো কোথায় এবং কিভাবে ব্যবহার হয় ? appeared first on Trickbd.com.
from Trickbd.com https://ift.tt/fSuv7CB
via IFTTT