প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সকলে ভালো আছেন। বর্তমান সময়ে পড়াশুনা ব্যাপারটি বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর কাছে খুবই বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে। পড়া মনে না থাকলে সেটি আরও বিরন্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। তাই আমাদের কিছু টিপস ফলো করে পড়াশুনা করতে হবে যাতে দীর্ঘ সময় আমারা আমাদের মস্তিষ্কে পড়াটাকে ধরে রাখতে পারি। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, পড়া মনে ৫ টি অভিনব বৈজ্ঞানিক কৌশল।
১. বিরতি নিয়ে পড়া রিভিশন দেওয়া
জার্মান মনোবিদ হারমান এবিনঘসের মতে, যে কোনো কিছু পড়ার এক ঘণ্টা পর মাত্র ৪৪ শতাংশ আমাদের মনে থাকে। তাই আমাদের উচিত তাৎক্ষণিক রিভিশন না দিয়ে, একটু বিরতি দিয়ে একই বিষয় আবার রিভিশন দেওয়া। তাতে পড়া মনে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিরতি দিয়ে বারবার পড়লে যে কোনো পড়া অনেক দিন মনে থাকে।
২. ফাইনম্যান পদ্ধতি
কোনো কিছু খুব সহজভাবে অন্যকে কাউকে বোঝানোর পদ্ধতিকে ফাইনম্যান পদ্ধতি বলা হয়। যে কোনো কিছু পড়ার পর তা অন্য কাউকে শেখানোর বা বুঝানোর চেষ্টা করলে সেই পড়া আপনার মনে থাকার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কোনো কিছু শেখানোর সময় আপনাকে সেই পড়াটি নিজের মতো গুছিয়ে সংক্ষেপ করে নিতে হয় ও আলোচনাও করতে হয়। যা পড়াটি আপনার মাথায় গেঁথে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ভালো ভূমিকা রাখে।
৩. পোমোডোরো পদ্ধতি
১৯৮০ সালের শেষের দিকে ফ্র্যাঞ্চেস্কো নামের এক উদ্যোক্তা এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। ইতালীয় শব্দ পমোডোরো অর্থ ‘টমেটো সস’। ফ্র্যাঞ্চেস্কোর টমেটোর আকারের টেবিল ঘড়ি থেকেই মূলত এর নামকরণ। এই পদ্ধতিতে একজন মানুষ মোট ২৫ মিনিট সময় নিয়ে কোনো একটি কাজ করবেন এবং কাজ শেষে ৫ মিনিটের বিরতি নেবেন। ওই পঁচিশ মিনিট নিজেকে অন্য সবকিছু থেকে দূরে রাখতে হবে। আর বিরতির পাঁচ মিনিটকে বেছে নিতে হবে অন্য যে কোনো কাজ কিংবা বিশ্রামের জন্য।
এতে করে মূল কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ে, কাজের প্রভাবও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। পড়াশোনার মাঝখানে মুঠোফোন হাতে নিয়ে ফেসবুক, ইউটিউবে ঢুঁ দেওয়া কিংবা অন্যমনস্ক হয়ে যাওয়া আমাদের এক নিত্য সমস্যা। যার ফলে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে এবং পড়া ঠিকমতো না হওয়ায় তা মনে থাকার সম্ভাবনাও বেশ কমে যায়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পোমোডোরো পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।
৪. পর্যাপ্ত ঘুম
যুক্তরাষ্ট্রের নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী জেসিকা পেইন এবং তাঁর কয়েকজন সহকর্মী মিলে একটি গবেষণা করেছেন। তাতে জানা যায়, পড়াশোনা শেষে নির্দিষ্ট সময় ঘুমালে তা পড়া মনে রাখায় বেশ সহায়তা করে থাকে।
তাই লম্বা সময় পড়াশোনার পর কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেওয়ার বিকল্প নেই। যাঁরা সারা রাত জেগে সকালে পরীক্ষা দিতে অভ্যস্ত, অনেক সময় দেখা যায় তাঁদের পরীক্ষা খারাপ হয়।
৫. নেমোনিক পদ্ধতি
ছড়া, গল্প, ছবি, ইত্যাদির মধ্যে তথ্য যুক্ত করে মনে রাখাকে আরও সহজ করাই হচ্ছে এই পদ্ধতির মূল বৈশিষ্ট্য। অনেক ছোট তথ্য (ভোকাবুলারি, বিভিন্ন সাল) মনে রাখার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়।
আশা করছি আজকের আরটিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। এমন আরও শিক্ষামূলক আরটিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
ফেসবুকের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস, ক্যাপশন খুঁজছেন? যদি খুঁজে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলগুলো দেখে নিতে পারেন – ফেসবুক স্ট্যাটাস, ফেসবুক ক্যাপশন।
The post পড়া মনে রাখার ৫টি অভিনব বৈজ্ঞানিক উপায় appeared first on Trickbd.com.
from Trickbd.com https://ift.tt/YtO3Wjk
via IFTTT