অনলাইনে ইনকাম বা ফ্রিল্যান্সিং পেশা হিসাবে বেছে নেয়া ঠিক হবে কিনা জেনে নিন।

  • আসসালামুআলাইকুম

সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।Trickbd এর সাথে সবাই নিয়মিত থাকবেন,যাতে সকল প্রকার আপডেট পেতে পারেন।

বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সিং দেখা যায়। তারা মাসে লক্ষ লক্ষ ডলার ইনকাম করে থাকেন। অনেকে ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে ইনকাম পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছে, কিন্তু অনেকে আবার এটাকে পার্টটাইম চাকুরি হিসাবে বেছে নিয়েছে। আপনি এই ফ্রিল্যান্সিং পেশা হিসাবে বেছে নিবেন নাকি, পার্টটাইম চাকুরি হিসাবে বেছে নিবেন, এই আর্টিক্যালটির মাধ্যমে জানতে পারবেন। আশা করি সম্পন্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। 

বিশেষ করে যারা যুবক তারা এই ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে বেশি ঝুকে পড়ছে। কারন, ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে অনেক টাকা আয় করা যায়। আমাদের বাংলাদেশের এমন অনেক যুবক আছে যারা এই ফ্রিল্যান্সিং করে তারা আজ হাজার কোটি টাকার মালিক। কিন্তু বাংলাদেশ দারিদ্র্য দেশ হওয়াতে অনেকে ফ্রিল্যান্সিং স্বপ্ন থেকে যায়। অনেকের ইচ্ছা পুরন হয় না। অনেকে এই ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে ইনকাম পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছে। আবার অনেকে এটি পড়াশুনার পাশাপাশি বেছে নিয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আসলে ছাত্র বয়স পারফেক্ট। আসলে হঠাৎ করেই কেউ উচ্চ লেভেলে যেতে পারে না, তাকে অনেক পরিশ্রম করে এগিয়ে যেতে হয়। বাংলাদেশে এমন অনেক লোক আছে, যাদের ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যে মেইন হাতিয়ার কম্পিউটার এটি কিনতে পারে না। ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে প্রচুর পরিশ্রম বা ধৈর্য থাকতে হবে। অনেকে ভাবে যে কম্পিউটার বা নেট কানেকশন এবং হালকা ট্রেনিং নিলেই অনলাইন থেকে ভাল টাকা ইনকাম করা যায়,এই ধারনা পুরোটা ভুল। আসলে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা।আপনার মাঝে ইচ্ছা থাকতে হবে যে আমি ফ্রিল্যান্সিং হব। তাহলে আপনাকে দিয়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার সহজ হবে। অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, যে ওয়েবসাইটগুলোতে কাজ করে দিয়ে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন। এছাড়া ও ইউটিউব বা ফেসবুক এমন সামাজিক যোগাযোগ সাইট থেকেও অনেক টাকা আয় করেছেন অনেকে। অনলাইনে যে মাধ্যমে থেকে আপনি ইনকাম করেন না কেন আপনাকে প্রচুর চেস্টা ও পরিশ্রম করতে হবে। অনেক কস্ট করে পথ পাড়ি দিয়ে আপনাকে সফলতা অর্জন করতে হবে। আপনার মাঝে যদি সৃজনশীলতা থাকে, তাহলে আপনি অতি তাড়াতাড়ি সফল হতে পারবেন। বাংলাদেশে অনেক ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে।সে সকল ট্রেনিং সেন্টারে ট্রেনিং নিয়ে অনেকে সফল হয়, আবার অনেকে সফল হয় না। সে সকল বিষয়ে ট্রেনিং সচরাচর আমাদের দেশে ট্রেনিং দিয়ে থাকে, ডিজিটাল মার্কেটিং,ভিডিও এডিটিং,এসইও,এপ্লিকেশনে ডেভেলপমেন্ট,ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। এরকম আরো অনেক কোর্স রয়েছে বাংলাদেশে। যে কোর্স গুলো শিখে ফ্রিল্যান্সিং,ওডেস্ক এরকম অনেক সাইট রয়েছে য্র সাইট গুলোতে বিদেশি বায়ার রা কাজ দিয়ে থাকে। এবং তাদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলে কাজ নিতে হয়। এবং আপনাকে এজন্য অনেক চেস্টা করতে হবে। প্রথম হয়তো আপনি কাজ পাবেন না,তবে আপনাকে হাল ছাড়া যাবে না। আপনার চেস্টা আপনার চালাতে হবে।আপনি যখন কাজ পেতে থাকবেন, তখন কাজ পাবেন অনেক। আপনি যদি বায়ারদের মন জয় করতে পারেন,আপনি যদি বায়ার এর কাজ ঠিক মতো করে জমা দিতে পারেন। তাহলে বায়ার আপনার আইডিতে ফাইভ স্টার দিয়ে দিবেন। এভাবে অনেক বায়ার এর কাজ যদি আপনি ঠিকভাবে করে জমা দিতে পারেন, তাহলে আপনার একাউন্ট টপে থাকবে। এবং অন্যান্য বায়ার আপনাকে বেশি কাজ দিবেন। আপনাকে চেস্টা করতে হবে কম সময়ের মধ্য কাজ জমা দেয়ার। যত তাড়াতাড়ি বায়ার এর কাজ জমা দিবেন, তত ভাল হবে আপনার জন্য। কিন্তু সামান্য ভুলের জন্য অনেক সময় আমাদের মুল্যবান ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট ব্যান বা নস্ট হয়ে যায়। এছাড়াও যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যাম বা ইউটিউব এ কাজ করে থাকেন। তারা ও কিন্তু ভিডিও কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করে মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করে থাকেন। এজন্যও আপনাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। কারন অনেকে ভাবে যে, ফেসবুক, ইউটিউব এগুলা থেকে এমনি অনেক টাকা আয় করা যায়। আসলে এটি সম্পর্কে যে জানে না সে কিভাবে বুঝবে। তাহলে আপনাদের ধারনা দিই, অনেক ইউটিউবার আছে যারা ১০-১২ হাজার ভিউয়ে পায় ১ ডলার (কম বেশি হতে পারে),তাহলে দেখেন একটা ভিডিওতে ১০-১২ হাজার ভিউ আনতে কতটা পরিশ্রম করতে হয়। অনলাইনে টাকা ধরা আসলে সহজ হলেও অনেক কঠিন কাজ।অনেক সময় দেখা যায় ভুল হলে ইউটিউব, ফেসবুক একাউন্ট ও ব্যান বা নস্ট হয়ে যায়।

 
 
আপনারা কিন্তু অনাইনে ইনকাম বা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অনেক ধারনা পেয়ে গেলেন। এখন আপনার জন্য কোনটি আপনি কি তাহলে ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে ইনকাম কে পেশা হিসাবে বেছে নিবেন। আসলে ছাত্র বয়সে যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন, তাদের জন্য এটি হলো পার্টটাইম চাকুরির মতো। কারন, তখন আপনি পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং পাশাপাশি আপনি কিছু টাকা আয় করলেন এবং সেটি আপনার প্রয়োজনে লাগলো। এছাড়া পরিবার ও উপকৃত হলো। কিন্তু আপনি যখন পড়া শেষ করলেন, তখন চাকুরি না করে যখন এই ফ্রিল্যান্সিং চালিয়ে যাবেন। তখন কিন্তু এটি পার্টটাইম চাকুরির মধ্য পড়ে না। হ্যা! আপনি যখন চাকুরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করবেন সেটা আলাদা। 

এখন আপনি যদি চান যে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি ক্যারিয়ার গড়বেন এবং আপনি এটাকে পেশা হিসাবে বেছে নিবেন,সেজন্য কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং করবেন পড়াশুনার পাশাপাশি তখন আপনার চাকুরির বয়স সম্পর্কে আপনাকে ভাবতে হবে। আপনি হয়তো ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করছেন কিন্তু আপনার একাউন্ট ব্যান হয়ে গেল,আবার এদিকে আপনার চাকুরির বয়স ও শেষ হয়ে গেল৷ তাহলে বিপদে পড়ে যাবেন। এজন্য ছাত্র জীবনে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ধরতে হবে, জমাতে হবে।তাহলে আপনি যদি অনেক টাকা জমান তারপর ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট ব্যান হলেও কোনো সমস্যা হবে না তেমন।তারপর আপনার পরিবারের অবস্থা যদি ভাল হয়ে থাকে, তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং কে পেশা হিসাবে নিতে পারেন৷ আপনি আপনার ভাবনাকে বেশি গুরুত্ব দিবেন,আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং পেশা হিসাবে নিলে ঠিক হবে কিনা পুরোটা আপনার উপর নির্ভর করে। তবে পরিশেষে একটি কথা হলো, আপনি যদি রিস্ক নিতে পারেন, তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং কে পেশা হিসাবে বেছে নিতে পারেন৷ কারন, ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট যেকোন সময় ব্যান হতে পারে,এবং ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য হয়তো আপনি সরকারি বা ভাল চাকুরি হারালেন পরে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট ও ব্যান হলো তাহলে সমস্যা এবং অনেক বিপদ।

আজকে এপযন্ত, আবারো দেখা হবে নতুন কোনো আপডেট নিয়ে।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

যেকোন প্রয়োজনে,
ফেসবুকে আমিঃ-

Sk Shipon

  • ধন্যবাদ। 



The post অনলাইনে ইনকাম বা ফ্রিল্যান্সিং পেশা হিসাবে বেছে নেয়া ঠিক হবে কিনা জেনে নিন। appeared first on Trickbd.com.



from Trickbd.com https://ift.tt/AGeg4Qs
via IFTTT

শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট